যুব মোর্চার পদ থেকে ইস্তফা সৌমিত্র খাঁ-র, মন্ত্রী না হতে পারার অবসাদ?
ইস্তফা দেওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব না পাওয়ার অবসাদকেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।

বিজেপির যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Saumitra Khan)। একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এই কথা নিজেই জানান সৌমিত্র। তবে দল ছাড়ার বিষয়ে বলেন, বিজেপিতে আছি, বিজেপিতেই থাকব। তবুও হঠাৎ এই পদত্যাগ ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে।
গত দুর্গা পুজোর মহাসপ্তমীতে যুব মোর্চার জেলা কমিটিগুলি ভেঙে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তারপর থেকেই ডামাডোল শুরু হয়ে যায় বিজেপির (BJP) অন্দরে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, তখনও একবার যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ওই বিজেপি সাংসদ। কিন্তু সেই সময় সেই ইস্তফা মঞ্জুর করেনি বিজেপির উচ্চতর নেতৃত্ব।
কিন্তু আবারও ইস্তফা দেওয়ার পেছনে কারণ হিসেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব না পাওয়ার অবসাদকেই দেখছে রাজনৈতিক মহল। মন্ত্রী হওয়ার জল্পনার তালিকাতে তাঁর নামও ছিল। একাধিকবার দিল্লিতে তাঁকে তলবও করা হয়। কিন্তু শেষবেলায় বাতিল হয়ে যায় বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-র নাম। আর তাতেই ক্ষোভ। আর সেই ক্ষোভ প্রকাশ্যে উগরেও দিয়েছেন সাংসদ।
জানা যাচ্ছে, বৃহস্পতিবার যুব মোর্চার পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইস্তফা দিচ্ছেন বিজেপি সাংসদ। তবে দল তিনি ছাড়ছেন না বলেই জানিয়েছেন। তাঁর সাফ জবাব, ‘আমরা রাস্তায় থাকি, তাই আমাদের মন্ত্রী করার দরকার পড়ে না।’
পদত্যাগের পরই শুভেন্দু অধিকারীকে তুলোধোনা করলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। বললেন, “বারবার দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভুল না বুঝিয়ে আয়নায় মুখ দেখুন।” দিলীপ ঘোষকে খোঁচা দিয়ে বললেন,”উনি অর্ধেক বোঝেন, অর্ধেক বোঝেন না।”
সৌমিত্র খাঁ আরও বলেন, “ভোটের একমাস আগে এসে উনি সব চোর চিটিংবাজকে জয়েন করিয়েছেন। সেই সময় থেকেই অনেক কিছুই আমার ভাল লাগেনি। স্বাভাবিকভাবেই প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই কারণেই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও যদি না বলি কোনওদিন বোঝাতে পারব না। তাই এখন বললাম। ভুল যদি হয়, যে কোনও পরিস্থিতিতে আমি প্রতিবাদ করব।”
ব্যক্তিগত স্বার্থে বিজেপিতে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারী, ইঙ্গিতে এমনও অভিযোগ করেছেন সৌমিত্র। বলেছেন, “আমি কোনও স্বার্থ নিয়ে বিজেপিতে আসিনি। আমার কোনও দাদা, ভাইয়ের জন্য কিছু করার নেই। আজও আমার একতলা বাড়ি।”
দলের প্রথম সারির নেতার এহেন মন্তব্যে অস্বস্তিতে বিজেপি। বুধবারই সন্ধেয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে দলের তরফে।
বুধবার রাতেই তিনি আবার ট্যুইটারে পোস্ট করে জানান যে উচ্চ্তর নেতৃত্বের প্রতি সম্মান জানিয়ে তাঁর পদত্যাগ পত্র প্রত্যাহার করছেন।