‘ব্রিটিশদের স্বাগত জানাতে’ জাতীয় সঙ্গীত রচনা, মন্তব্য BJP সাংসদের: তীব্র প্রতিবাদ তৃণমূল-সহ বিরোধীদের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৫৩: ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ‘জন গণ মন’( Jana Gana Mana) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন কর্ণাটকের উত্তর কন্নড়ের (Uttara Kannada) বিজেপি সাংসদ বিশ্বেশ্বর হেগড়ে কাগেরি (Vishweshwar Hegde Kageri )। তাঁর দাবি, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গানটি লিখেছিলেন “ব্রিটিশদের স্বাগত জানাতে”। তৃণমূল কংগ্রেস এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে। রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ (Sagarika Ghose) X-এ লেখেন, “জন গণ মন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতের বহুত্ববাদী মানুষদের জন্য লিখেছিলেন। তিনি ব্রিটিশদের দেওয়া নাইটহুড ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বিজেপির এই অ্যান্টি-বেঙ্গল, অ্যান্টি-ইন্ডিয়া মানসিকতা আবারও প্রকাশ পেল।”
Jana Gana Mana was originally composed by Rabindranath Tagore in literary Bangla for the DIVERSE PEOPLE of India. Please remember Tagore renounced a knighthood from the British. ANTI-BENGAL, ANTI-INDIA WHATSAPP-HISTORY mindset of Brazilian Jumla Party @BJP4India again exposed.…
— Sagarika Ghose (@sagarikaghose) November 6, 2025
হন্নাভরে (Honnavar) বন্দে মাতরম সঙ্গীতের ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কাগেরি। তিনি বলেন, “বন্দে মাতরম এবং জন গণ মন-দুটোই জাতীয় মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য। আমি ইতিহাসে ফিরতে চাই না। একসময় বন্দে মাতরমকে জাতীয় সঙ্গীত করার দাবিও উঠেছিল। কিন্তু আমাদের পূর্বপুরুষেরা সিদ্ধান্ত নেন, বন্দে মাতরম ও জন গণ মন-দুটোকেই গ্রহণ করা হবে। যদিও জন গণ মন লেখা হয়েছিল ব্রিটিশদের স্বাগত জানাতে।”
বিজেপি (BJP) সাংসদের এই মন্তব্য ঘিরে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্ক খাড়ে (Priyank Kharge)। তাঁর বক্তব্য, “এটা আরএসএসের পাঠানো ‘হোয়াটসঅ্যাপ ইতিহাসের পাঠ’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১১ সালে ভারতো ভাগ্য বিধাতা কবিতাটি লেখেন, যার প্রথম স্তবক ‘জন গণ মন’। এটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় কংগ্রেস অধিবেশনে- রাজা জর্জকে উদ্দেশ করে নয়।”
তিনি আরও বলেন, “ঠাকুর নিজে ১৯৩৭ ও ১৯৩৯ সালে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যে এই গান ভারতের ভাগ্যবিধাতাকে উদ্দেশ্য করে লেখা, কোনও জর্জ বা রাজাকে নয়। বিজেপি (BJP) ও আরএসএসের (RSS) প্রতিটি নেতা ও কর্মীর উচিত ইতিহাস নতুন করে পড়া, বিশেষ করে আরএসএসের মুখপত্র অর্গানাইজার-এর সম্পাদকীয়গুলো। সংবিধান, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সঙ্গীত-এই তিনটির প্রতিই আরএসএস বারবার অসম্মান দেখিয়েছে।”