নেহেরু স্টেডিয়ামে মোদীর সভা নিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা, দু’ কিলোমিটার দূরেই হতাশার সুর, কেন?
রাজ্য বিজেপি (Bengal BJP) সূত্রে জানা গেছে, মোদী ১৮ জুলাই বঙ্গ সফরে আসছেন। ওই একই দিনে বিহারে বেশ কিছু কর্মসূচী রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১২:১৮: ১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ দিবসের ‘মেগা র্যালির’ ঠিক আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) বঙ্গ সফর ঘিরে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। রাজ্য বিজেপি (Bengal BJP) সূত্রে জানা গেছে, মোদী ১৮ জুলাই বঙ্গ সফরে আসছেন। ওই একই দিনে বিহারে বেশ কিছু কর্মসূচী রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ১৮ জুলাই দুপুর ২টোয় মোদীর বিমান অন্ডাল বিমান বন্দরে অবতরণ করবে। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী সোজা যাবেন নেহেরু স্টেডিয়ামে। সেখানে আয়োজিত এক জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
বিজেপি’র রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্তরের নেতারা দফায় দফায় নেহেরু স্টেডিয়াম পরিদর্শন করছেন। সেখানে দলীয় কর্মীদের মধ্যে উদ্দীপনা। আর তার থেকে দু’ কিলোমিটার দূরেই হতাশার সুর। দুর্গাপুরের রাজীব গান্ধী ময়দানে চলছে রথের মেলা। প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচির জন্য দ্রুত মেলা গুটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ এসেছে। মেলার মাঠে ক্রমাগত সেই ঘোষণা করা হচ্ছে। তাই কিছুটা ভীত হয়েই দ্রুত নিজেদের পসরা গোছানো শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা।
দুর্গাপুরে রথের মেলা এই অঞ্চলের অন্যতম বড় মেলা। রাজীব গান্ধী ময়দান বা চিত্রালয়ের এই মেলা ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ রয়েছে। বিপুল কেনাকাটার আশায় দূর দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে এসে দোকান দেন। ব্যবসায়ীদের চাহিদা দেখে মেলার স্টলগুলির ভাড়াও লাফিয়ে বেড়েছে। এক চিলতে দোকানেরও ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা ভাড়া। তবু ব্যবসায়ীরা আসেন কারণ, মাসখানেক ধরে চলা মেলায় বিক্রিবাটা ভালো হয়। এবার কিন্তু উল্টো চিত্র। মেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই দুর্গাপুরে দফায় দফায় বৃষ্টি হয়েছে। জলকাদা ঠেলে মেলায় দর্শনার্থী আসার সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিক্রিবাটাও লাটে উঠেছে।
ব্যবসায়ীরা আশা করেছিলেন, ১৩ জুলাই সরকারি ভাবে মেলা শেষ হলেও ভাঙা মেলা ক’দিন বাড়তি চালিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন তাঁরা। কিন্তু মেলার বিক্রেতাদের সেই আশায় জল ঢেলে দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সফর সূচি। জানা গিয়েছে, নরেন্দ্র মোদী নেহরু স্টেডিয়ামে সভা করলেও সভাস্থলে আসা গাড়ি রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে এই ময়দানে। তাই দ্রুত মাঠ পরিষ্কার করার ফরমান এসেছে। মেলা কমিটির সম্পাদক তপন মুখোপাধ্যায় বলেন, আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মেলার ব্যবসায়ীদের মাইকিং করে সতর্ক করার জন্য। আমরা তা করছি। বৃষ্টিতে এবার কেনাকাটা কম হয়েছে ঠিকই। প্রধানমন্ত্রীর সফর না থাকলে হয়তো মেলা কয়েকদিন বেশি রাখার অনুরোধ করতাম।