উপনির্বাচনে গেরুয়া ঝুলি শূণ্য‌ই থাকবে, মত বিজেপির একাংশের

স্বভাবতই আসন্ন দুই বিধানসভা ভোটে জোড়া আসনই শাসকদলের পক্ষে যাবে বলে আড়ালে মেনে নিচ্ছেন রাজ্য বিজেপি নেতাদের একাংশ।

September 5, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর তিনটি আসনের ভোটে গেরুয়া ঝুলিতে একটিও আসবে না বলে খোদ বিজেপি একাংশের অভিমত। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে বিধানসভা আসনে সাধারণ নির্বাচন হবে। অন্যদিকে, ভবানীপুর বিধানসভা আসনে অনুষ্ঠিত হবে উপনির্বাচন। এক্ষেত্রে প্রার্থী চয়নের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র ভবানীপুর কেন্দ্রেই পছন্দের প্রার্থী বাছতে পারে রাজনৈতিক দলগুলি। কারণ, মুর্শিদাবাদ জেলার অধীনে থাকা এই দুই কেন্দ্রের প্রার্থী বাছাইয়ের যাবতীয় প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। বিজেপি (BJP) দলীয় সূত্রের খবর, মুর্শিদাবাদ জেলায় দলের সংগঠন অত্যন্ত দুর্বল। যা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন একাধিক রাজ্য নেতা। এই দুর্বলতার মূল কারণ, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় বিজেপির ভোট ব্যাঙ্ক কার্যত নেই বললেই চলে। তারওপর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ১৮টি আসন পেয়েছিল। একদা কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদে কার্যত ‘জোড়া ফুল বিপ্লব’ চাক্ষুষ করেছে রাজ্যবাসী। স্বভাবতই আসন্ন দুই বিধানসভা ভোটে জোড়া আসনই শাসকদলের পক্ষে যাবে বলে আড়ালে মেনে নিচ্ছেন রাজ্য বিজেপি নেতাদের একাংশ।

অন্যদিকে, ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রার্থী পাওয়া নিয়েই রাজ্য বিজেপির অন্দরে নানা সমীকরণ চলছে। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে ওই কেন্দ্রের গেরুয়া প্রার্থী রুদ্রনীল ঘোষকে আর চাইছে না দক্ষিণ কলকাতা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ফলে হেভিওয়েট এই আসনে প্রার্থী চয়ন ঘিরে সমস্যায় পড়তে পারে পার্টি। এ বিষয়ে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, নিয়ম মেনে ভবানীপুরের জন্য আমরা সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা দিল্লিতে পাঠাব। দলের সংসদীয় দলের বৈঠকে তা অনুমোদিত হলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে। অন্যদিকে, বাম-কংগ্রেস জোটের মধ্যেও ভবানীপুর কেন্দ্রের প্রার্থী নিয়ে মতানৈক্য আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা। কারণ, সম্প্রতি প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী না দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। যা কার্যত মেনে নিতে পারেনি রাজ্য কংগ্রেসের বহু হেভিওয়েট নেতা। এনিয়ে হাত শিবিরে মতানৈক্য রয়েছে। দলের কেন্দ্রীয় নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী সলমন খুরশিদ এদিন কলকাতায় বলেন, ভবানীপুর নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের হাইকমান্ড। সর্বোপরি, দলনেত্রী বাস্তব পরিস্থিতি বিচার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন। অন্যদিকে, বামেরা ভবানীপুরে মমতাকে ওয়াকওভার দিতে নারাজ। আগামী মঙ্গলবার এ নিয়ে বামফ্রন্টের বৈঠক ডাকা হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen