অরিন্দম যোগদান করায় ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপির পুরনো কর্মীরা শান্তিপুরে

অরিন্দম ভট্টাচার্যের বিজেপিতে যোগদানের খবর ছড়াতেই জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জোর বিতর্ক।

January 22, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

কংগ্রেসের(Congress) টিকিটে জেতা শান্তিপুরের (Shantipur)তৃণমূল(TMC) বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য(Arindam Bhattacherjee) বুধবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাতে শান্তিপুরের তৃণমূলে যেন শান্তি ফিরল! অন্যদিকে তাঁকে দলে নেওয়ায় ক্ষুব্ধ তাঁর নতুন দল বিজেপির(BJP) একাংশ।

বুধবার নয়াদিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গে বিজেপি সদর দফতরে শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্য বিজেপিতে যোগ দেন। কৈলাস বিজয়বর্গীয়র(Kailash Vijayvargiya) হাত থেকে পতাকা নেন তিনি। তারপর সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। শান্তিপুর বিধানসভা কেন্দ্রের তরুণ তৃণমূল বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের বিজেপিতে যোগদানের খবর ছড়াতেই জেলার রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় জোর বিতর্ক।

শান্তিপুর শহর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দ মৈত্র বলেন, ‘‘স্বস্তি ফিরল। তাঁকে নিয়ে দলাদলি-গন্ডগোল-অশান্তি লেগেই ছিল। এ সব নিয়ে আমাদেরও হয়রানি বাড়ছিল। তাঁর চলে যাওয়ায় দলের কোনও ক্ষতি হবে না। বরং শান্তিপুরে তৃণমূল আরও বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হবে। গণ্ডি কাটা ছিল। সেটা থেকে সাময়িক মুক্তি পেয়েছি। কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। মমতা ব্যানার্জির কাজে সমর্থন জানিয়ে যোগদান করেছিলেন।’’

একদিকে অরিন্দম ও অন্যদিকে শান্তিপুরের পুর প্রশাসক অজয় দে’র গন্ডগোল মেটাতে হিমশিম খেতে হয়েছে রাজ্য নেতৃত্বকেও। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বকাঝকাতেও চিড়ে ভেজেনি। এই নিয়ে জেলা নেতৃত্বকেও বিব্রত হতে হয়েছে বারবার। তাই তাঁর দলত্যাগে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে তৃণমূলের একাংশ।

তবে অরিন্দম বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় ক্ষোভে ফুঁসছেন বিজেপির একাংশ। শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ পাড়ায় ২০১৮ সালের ২৩ মে গভীর রাতে খুন হন বিজেপির বুথ সভাপতি বিপ্লব শিকদার। বিপ্লববাবুর পরিবারের অভিযোগ, শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যের নির্দেশেই খুন করা হয় তাঁকে। দিল্লিতে যখন বিজেপির দলীয় পতাকা হাতে নিচ্ছেন অরিন্দম, সেই সময় খুন হওয়া বিপ্লববাবুর ছেলে সুফল শিকদার সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে ক্ষোভ উগরে দেন।
বিপ্লববাবুর স্ত্রী শংকরী শিকদার, একমাত্র ছেলে সুফল শিকদার ও মেয়ে দেবিকা মাহাতোর অভিযোগ, তাঁদের প্রিয়জনের খুনের নেপথ্যে যে অরিন্দম ভট্টাচার্যের হাত ছিল, সেই অরিন্দম ভট্টাচার্যই আজ বিজেপিতে যোগদান করলেন। তাঁরা বলেন, ‘‘এই যোগদান কোনওমতেই মেনে নিতে পারছি না। প্রয়োজন হলে বিজেপি দল ত্যাগ করতেও পিছুপা হব না।’’

এ প্রসঙ্গে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘কেউ তাঁকে রাজনৈতিকভাবে উস্কে দিয়েছে। কারণ আমি জনপ্রতিনিধি। আর জনপ্রতিনিধি ঠিক করে দেয় না কাকে দলে নেওয়া হবে সেই ব্যাপারে। এটা সম্পূর্ণই দলের ব্যাপার। যেহেতু তাঁর বাবা খুন হয়েছেন, তাই তার রাগ হওয়াটাই স্বাভাবিক। তবে দলের সিদ্ধান্ত মতোই অরিন্দম ভট্টাচার্য বিজেপিতে যোগদান করেছেন।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen