ফের ভোট চুরির ‘চক্রান্ত’র অভিযোগ উঠল বিহারে, একটি বিধানসভা কেন্দ্রের ৮০ হাজার মুসলিম ভোটারের নাম বাদ!

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১.২০: বিহারে আসন্ন নির্বাচনে ভোট ‘চুরি’ করার জন্য নির্বাচন কমিশন বিজেপির সঙ্গে ‘গোপন আঁতাত’ করেছে। এই অভিযোগ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ও আরজেডি বিধায়ক তেজস্বী যাদব। আর ‘ভোট চরি’ প্রসঙ্গটি সামনে এনে সরব রয়েছেন রাহুল গান্ধী। যা নিয়ে বিতর্ক চলকে বেশ কিছুদিন ধরেই। এবার ফের ভোট চুরির ‘চক্রান্ত’র অভিযোগ উঠল বিহারে! মাত্র একটি বিধানসভা কেন্দ্রের ৮০ হাজার মুসলিম ভোটারের নাম বাদ দিতে তৎপর বিজেপি। অভিযোগ, দলের লেটারহেডেই এ নিয়ে কমিশনে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রভাবশালী পদ্ম নেতারা।
গেরুয়া শিবিরের দাবি, উল্লিখিত ভোটাররা কেউই ভারতীয় নন। রিপোটার্স কালেক্টিভের তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। তারপরই একযোগে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে বিঁধেছে কংগ্রেস। হাত শিবিরের অভিযোগ, ‘ভোট চুরি’র সব জেনেও মুখে কুলুপ এঁটে বসে রয়েছে কমিশন। এই অপকর্মে তারা বিজেপিকে মদত দিয়েছে। আর একটা কেন্দ্রেই যদি এত বড়ো কারচুপি হয়, তাহলে গোটা বিহারে কী হয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। পূর্ব চম্পারণ জেলার ঢাকা বিধানসভা আসনের ওই ভোটারদের নাম ছাঁটতে বিহারের ইআরও ও সিইওকে চিঠি পাঠিয়েছে বিজেপি। একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ঢাকার বিজেপি বিধায়ক পবনকুমার জয়সওয়ালের সহকারী। অন্য একটি রাজ্য বিজেপির লেটারহেডেই পাঠানো হয়েছিল। আগামী ১ অক্টোবর ঢাকার চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হবে। তারপরই বোঝা যাবে, সেই ‘আর্জি’ মেনে আদপে কতজনের নাম বাদ গেল! বিজেপির তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু ভোটারের সঙ্গেও কথা বলেছে রিপোটার্স কালেক্টিভ। তাঁদের অনেকেই এই ‘চক্রান্তে’র ব্যাপারে অন্ধকারে। যদিও প্রকাশ্যে আসা তথ্য নিয়ে কোনও মন্তব্যই করতে চাননি স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক।