মতুয়াগড়ে ক্ষোভের আগুন, মতুয়াদের তোপের মুখে BJP-র কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু

চরমে উঠল ক্ষোভের আগুন। মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের উন্নতিতে ঠাকুর পরিবারের কোনও অবদান নেই, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনছেন জেলার মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতারা। কাঁকসার রাজবাঁধে আয়োজিত মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্মেলন থেকে উঠল অভিযোগ।

February 27, 2025 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চরমে উঠল ক্ষোভের আগুন। মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের উন্নতিতে ঠাকুর পরিবারের কোনও অবদান নেই, এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ আনছেন জেলার মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতারা। কাঁকসার রাজবাঁধে আয়োজিত মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্মেলন থেকে উঠল অভিযোগ।

মতুয়া মহাসঙ্ঘের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন গোঁসাইয়ের অভিযোগ, পূর্বপুরুষদের দোহাই দিয়ে সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী হয়েছেন, কিন্তু জেলার মতুয়ারা আজও ভূমিহীন, দুরাবস্থায় পড়ে আছেন। নিজেদের সাম্মানিক ভাতার ব্যবস্থা করে দুই-চারজন দলপতি ও সাধু-গোঁসাইয়ের আর্থিক উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। যাঁরা প্রকৃত অর্থে ধর্ম রক্ষা করছেন, তাঁদের জন্য কোনও ভাতার ব্যবস্থা করা হয়নি। কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরকে নিশানা করে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রাক্তন সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, “তিনি (শান্তনু ঠাকুর) পানাগড়ে এসেছিলেন, কিন্তু জেলার মতুয়া অধ্যুষিত কলোনিগুলির কোনও খোঁজ নেননি। আমাদের ভোটেই প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, অথচ এখন আমাদেরই বলা হচ্ছে নাগরিকত্ব নিতে হবে। স্বাধীনতার ৭৮ বছর পরেও মতুয়ারা অবহেলিত ও লাঞ্ছিত।” স্বপন গোঁসাই বলেন, “ওপার বাংলায় হিন্দু নিধন চলছে, অথচ ভারত সরকার কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”

এদিন মতুয়া সমাজের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ দাবি সংবলিত স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হয়। মূল দাবিগুলি হল- ১) মতুয়াদের জন্য স্থায়ী বসবাসের জমির পাট্টা প্রদান। ২) আবাস যোজনায় মতুয়া পরিবারগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা। ৩) মতুয়া দলপতি ও সাধু-গোঁসাইদের জন্য মাসিক ভাতা চালু করা। অভিযোগ উঠছে, কেন্দ্র সরকার মতুয়াদের কোনও উন্নয়ন করেনি, বরং এনআরসি ও সিএএ-র ভয় দেখিয়েছে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মতুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ রাজ্য রাজনীতিতে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen