ক্ষুব্ধ BLO-রা, বিকল্প ব্যবস্থা না হলে আটকে যাবে SIR, কমিশনকে প্রস্তাব CEO দপ্তরের

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:০০: বিএলওদের (BLO) ক্ষোভ শেষমেশ স্বীকার করল সিইও দপ্তর। ভোটার তালিকা (Voter list) সংশোধনের কাজে বাড়তি চাপ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কয়েক দিন ধরে অসন্তোষ চলছিল।
এনিউমারেশন ফর্ম (Enumeration form) বিলি, সংগ্রহ এবং অ্যাপে ডেটা আপলোড সব মিলিয়ে কাজের বোঝা বেড়ে যাওয়ায় বহু বিএলও প্রকাশ্যে আপত্তি জানান। তাঁদের বক্তব্যের ভিত্তিতেই বিকল্প ব্যবস্থা নিয়ে ভাবছে রাজ্যের নির্বাচন দপ্তর (State Election Office)।
নির্বাচন কমিশনের বর্তমান নিয়মে ফর্ম সংগ্রহের পর ছবি সহ প্রতিটি ফর্ম অ্যাপে আপলোড করতে হচ্ছে বিএলওদের। তাঁদের দাবি, একটি ফর্ম আপলোড করতেই প্রায় কুড়ি মিনিট লেগে যাচ্ছে। যেসব বুথে ভোটার সংখ্যা এক হাজার পেরিয়ে ১২০০ থেকে ১৪০০, সেখানে কাজ শেষ করতেই প্রচুর সময় লাগবে। শুধু ছবি আপলোড নয়, ফর্মের সব তথ্য অ্যাপে আবার লিখতে হচ্ছে। এতে ভুল হওয়ার আশঙ্কা বাড়ছে। তাঁদের বক্তব্য, এই কাজ মূলত ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের (Data Entry Operator)। বিহারের বিশেষ সংশোধন পর্বেও এই দায়িত্ব বিএলওদের ছিল না।
আগামী সপ্তাহেই পুরো মাত্রায় শুরু হবে ফর্ম সংগ্রহ। তাই সিইও মনোজ আগরওয়াল (Manoj Agarwal) কমিশনকে প্রস্তাব দিয়েছেন, শুধু বিএলও নয়, ইআরও, এইআরও এবং বিএলও সুপারভাইজারদেরও যেন অ্যাপে লগ ইন করার সুযোগ দেওয়া হয়। পাশাপাশি অ্যাপটি ডেস্কটপে ব্যবহার করার ব্যবস্থাও চেয়েছে সিইও দপ্তর (CEO Office)। তাদের আশঙ্কা, এখনই উদ্যোগ না নিলে সার (SIR) প্রক্রিয়ার পুরোটা আটকে যাবে।
দপ্তরও স্বীকার করছে, মোবাইলে ডেটা এন্ট্রি করা সময়সাপেক্ষ। রাজ্যের ৮০ হাজারের বেশি বুথে সব বিএলও সমানভাবে মোবাইল অ্যাপে কাজ করতে স্বচ্ছন্দ নন। অভ্যন্তরীণ সূত্রের মতে, মূল সমস্যা ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের (Data Entry Operator) অভাব।
এদিকে ডেটা এন্ট্রি নিয়ে বিক্ষোভ শুক্রবারও থামেনি। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরে প্রশিক্ষণ সভা চলাকালীন কয়েকজন বিএলও (BLO) আপত্তি জানিয়ে বেরিয়ে যান। তাঁদের অভিযোগ, ভোটারের সংখ্যা বেশি হলেও রিলিভার দেওয়া হয়নি, মোবাইল অ্যাপে কাজেও তাঁরা দক্ষ নন। ভুল হলে তার দায় তাঁদেরই নিতে হবে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন অনেকেই।
টিকিয়াপাড়াতেও পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়। রেগুলেটরি মার্কেট অফিসে নির্ধারিত ডেটা এন্ট্রি প্রশিক্ষণ বন্ধ হয়ে যায় বিক্ষোভের জেরে। অনেক বিএলও জানান, হঠাৎই নির্দেশ এসেছে শনিবারের মধ্যে ফর্ম বিলি শেষ করতে হবে, আর একই দিনই প্রশিক্ষণে যোগ দিতে হবে। তাঁদের মতে, এত কম সময়ে দুই দিক সামলানো মোটেই সম্ভব নয়।