সোমবার রাতের বৃষ্টিতে কয়েক কোটি কোটি টাকার ক্ষতি বই পাড়ার, কী করে ঘুরে দাঁড়াবেন বুঝে উঠতে পারছেন না প্রকাশক-বিক্রেতারা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৩১: সোমবারের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বই, ফর্মা, ম্যাগাজিন, সাদা কাগজ মিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বইপাড়ার। ছাপাখানার ক্ষতি তো আছেই। বড় প্রকাশনা সংস্থার পাশাপাশি ছোট বই বিক্রেতাদেরও বিপুল ক্ষতি। ক্ষতি যে কতটা হলো, এখনই তা বোঝা যাচ্ছে না। ফলে পুজোর মুখে মাথায় হাত কলেজ স্ট্রিটের অগনিত প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধার ও বই ব্যবসায়ীদের।
জলে ডুবেছে কলেজ স্ট্রিট-সূর্যসেন স্ট্রিটের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। ছোট-বড় অসংখ্য প্রকাশনা সংস্থার দপ্তর রয়েছে ছড়িয়ে। পুজোর মুখে বইয়ের স্তূপ সেখানে। এখন সবই জলের নীচে। কলেজস্ট্রিটের বর্ণপরিচয় মার্কেটেও জল। একতলায় যাঁদের দোকান, জলে ডুবেছে তাঁদের সমস্ত বই। কী করে ঘুরে দাঁড়াবেন বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা।
পত্রভারতীর কর্ণধার ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, সোমবার রাতের বৃষ্টিতে কয়েক কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে কলকাতার বইপাড়ার। তিনি বলেন,‘‘আমাদের প্রকাশনা সংস্থার প্রচুর বই নষ্ট হল মাত্র কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে। এমন পরিস্থিতি হবে বুঝতেই পারিনি।আমার প্রায় ১০ থেকে ১২ লক্ষ টাকার বই নষ্ট হয়েছে। গোটা বই পাড়ার হিসেব ধরলে এই ক্ষতির অঙ্ক কয়েক কোটি টাকা।’’ দে’জ প্রকাশনার কর্ণধার সুধাংশু দে বলছেন- আমফানও এত ক্ষতি করতে পারেনি, এক রাতের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টি একেবারে শেষ করে দিল সবটা।
সোমবার এক রাতের বৃষ্টিতে কলেজ স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট, বর্ণপরিচয় মার্কেট সব জলের তলায়। কয়েক কোটি টাকার বই ভাসিয়ে নিয়েছে সোমবার রাতের আকাশ ছেঁচা বৃষ্টি। মঙ্গলবার সারাদিন সেই অর্থে আর ভারী বৃষ্টি হয়নি। তবে এক রাতেই যে ক্ষতি করেছে, তা নিয়ে ভাবতে বসে বইপাড়া প্রকাশকরা, বই বিক্রেতারাও অথৈ জলে। পুজোর মুখে এই ধাক্কা সামলাবে কী করে!