কঙ্গনা ছাড়া বাকি শিল্পীদের দমবন্ধ অবস্থা: বিজেপিকে আক্রমণ ব্রাত্যর
২০১৯–এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই টলিউডের অনেকে বিজেপি –তে গিয়েছেন।

টলিউড অভিনেত্রী কৌশানী মুখোপাধ্যায় ও ইম্পা প্রধান পিয়া সেনগুপ্তকে তৃণমূলে যোগ দান করানোর আগে রবিবার বিজেপি–কে একহাতে নিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা নাট্য ব্যক্তিত্ব ব্রাত্য বসু। তৃণমূল ভবনে (Trinamool Bhavan) তাঁর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এদিন ব্রাত্য বিজেপি–র বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরেন যে কীভাবে চরম সঙ্কটের মুখে পড়তে হচ্ছে গোটা ভারতবর্ষের অভিনেতা, শিল্পীদের।
ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, ‘২০১৪ সালের পর থেকে, বিশেষ করে অভিনেতাদের ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা ভূলণ্ঠিত। একটা অঘোষিত সেন্সরশিপ চলছে। আমার মনে হয় অভিনেতা–অভিনেত্রী, পরিচালক, বুদ্ধিজীবীদের এরকম অবস্থায় পড়তে হয়নি। বম্বের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, দক্ষিণের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সবাই আজ কোণঠাসা।’
যে সব শিল্পীরা কোনও না কোনওভাবে বিজেপি দ্বারা আক্রান্ত তাঁদের এক–একজনের নাম করে এদিন ব্রাত্য বসু (Bratya Basu) বলেন, ‘অনুরাগ কাশ্যপের মতো পরিচালককে বিজেপি হুমকি দিচ্ছে। তাঁকে ট্রোল করা হচ্ছে। তাঁর মেয়ের সম্পর্কে কুৎসিত কথা বলা হচ্ছে। আক্রমণ করা হয়েছে নাসিরুদ্দিন শাহর মতো অভিনেতাকেও। বলা হচ্ছে তিনি কেন দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন না! পরিচালক দিবাকর বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে। দলিতদের পক্ষে লড়াই করার জন্য অভিনেতা আয়ুষ্মান খুরানাকে নানাভাবে বিরক্ত করা হচ্ছে।’
কঙ্গনা রানাওয়াতের (Kangana Ranaut) মতো যাঁরা বিজেপি–র পক্ষ নিয়েছে তাঁদের ছাড়া বাদবাকি সকলেরই দমবন্ধ করা অবস্থা— এ কথা এদিন পরিষ্কার জানান ব্রাত্য বসু। তিনি বলেন, ‘কমল হাসান (Kamal Hasan), প্রকাশ রাজের মতো যাঁরা বিজেপি–র বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন তাঁদেরও বলিউড থেকে বয়কট করা হয়েছে। তবে আমাদের এখানে অবস্থাটা তেমন নয়। আমরা বাম আমলে সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছি। তৃণমূলের এই শাসনকালে বাম বুদ্ধিজীবীরাও আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলেছে।’
২০১৯–এর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই টলিউডের অনেকে বিজেপি (BJP)–তে গিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ আবার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও পেয়ছেন। তাঁদের উদ্দেশে ব্রাত্যর বার্তা, ‘টলিউডের কেউ কেউ বিজেপি–তে গিয়েছেন। তাঁদের বলব, আপনারা ফিরে আসুন। কারণ, বিজেপি বাংলায় যদি ক্ষমতায় আসে তা হলে আর কারও বাকস্বাধীনতা থাকবে না।’