পঞ্চায়েত এলাকাতেও অনলাইনে বিল্ডিং প্ল্যান ও ট্রেডলাইসেন্স! উদ্যোগী রাজ্য

গত ৪ নভেম্বর থেকে পঞ্চায়েত দপ্তরের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে এই পরিষেবা। গোটা প্রকল্পটি সাড়া জাগিয়েছে গ্রামীণ এলাকায়

November 16, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

‘ইজ অব ডুয়িং বিজনেস’-এর আওতায় এবার গ্রামবাংলাও। পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি ক্ষেত্রে যে কোনও ছাড়পত্র পাওয়ার পদ্ধতি আরও সরল হচ্ছে। নতুন বাড়ি তৈরি হোক বা ব্যবসা শুরুর ট্রেড লাইসেন্স—আর হাতে হাতে নেওয়া হবে না আবেদন। সবটাই হবে অনলাইনে। রাজ্যের পুরসভা এলাকায় ইতিমধ্যে এই ব্যবস্থা চালু। শহরে ‘এক জানলা’ নীতিকে সুচারুভাবে ব্যবহারের জন্য একাধিক ‘স্কচ’ পুরস্কার পেয়েছে রাজ্য সরকার। এবার গ্রামের বাসিন্দারাও সেই সুযোগ পাবেন। গত ৪ নভেম্বর থেকে পঞ্চায়েত দপ্তরের উদ্যোগে চালু করা হয়েছে এই পরিষেবা। গোটা প্রকল্পটি সাড়া জাগিয়েছে গ্রামীণ এলাকায়। জমা পড়েছে ১০ হাজারেরও বেশি আবেদন। তার মধ্যে সাড়ে ছ’হাজার দরখাস্ত ইতিমধ্যে মঞ্জুরও করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর।

বিল্ডিং প্ল্যান বা ট্রেড লাইসেন্সের জন্য এতদিন স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসে চক্কর লাগাতে হতো। প্রথমে আবেদন, তারপর সরকারি আধিকারিকের পরিদর্শন… সব মিলিয়ে কয়েক মাস কেটে যেত ছাড়পত্র পেতে। আর সেই হয়রানি পোহাতে হবে না। অনলাইনে এক ক্লিকে মিলবে অনুমোদন। আধিকারিকদের দাবি, স্বচ্ছ ও উন্নত পরিষেবার লক্ষ্যেই রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ। এতদিন ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামীণ এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রদানের কাজ শুরু হয়েছিল। এবার তা নিজেদের হাতে তুলে নিল পঞ্চায়েত দপ্তর।

এতদিন এধরনের পরিষেবা অনলাইনে পেয়ে এসেছেন শহরবাসীরা। গ্রামীণ এলাকায় সেভাবে এই মাধ্যমের ব্যাপ্তি ছিল না। কিন্তু এবার ধীরে ধীরে অনলাইন পরিষেবা গ্রামবাসীদের মধ্যেও চালু করে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। নতুন এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবেদন করতে হবে পঞ্চায়েত দপ্তরের ওয়েবসাইটে লগ ইন করে। সেখান থেকে ট্রেড লাইসেন্সের শংসাপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। আবার কেউ নতুন বাড়ি, অতিরিক্ত ঘর কিংবা তল নির্মাণ করতে চাইলে, তারও ছাড়পত্র মিলবে বাড়ি বসেই। এই নতুন পরিষেবার সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে পঞ্চায়েত কর্মীদের।

দপ্তরের এক আধিকারিক জানান, অনেক সময় ট্রেড লাইসেন্সের আবেদন করতে গিয়ে দালালচক্রের খপ্পরে পড়েন ব্যবসায়ীরা। দিতে হয় মোটা অঙ্কের টাকা। এমনকী, বহু ক্ষেত্রে ডোনেশনের নাম করে মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। অনলাইনে পরিষেবা চালু হওয়ায় এই ঝামেলা আর পোহাতে হবে না। কিন্তু একটা সমস্যা থাকছেই। এই ব্যবস্থায় যে কেউ চাইলেই আবেদন করে সার্টিফিকেট ডাউনলোডে সক্ষম। সেক্ষেত্রে অন্যের নামে শংসাপত্র বের করার বিপদ অবশ্য থাকছে।
উদ্যোগটি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ব্যাপক হারে প্রচারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন ঠিক করেছে। কেউ অনলাইনে সড়গড় না হলে স্থানীয় বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে পারবেন। গত ১০ দিনে শুধু উত্তর দিনাজপুর থেকেই সর্বাধিক আবেদন জমা পড়েছে—সাড়ে পাঁচ হাজার। উত্তর ২৪ পরগনা এবং মুর্শিদাবাদে সংখ্যাটা যথাক্রমে প্রায় ৯০০ এবং ৫৫০। তিনশোরও বেশি ট্রেড লাইসেন্সের আর্জি জমা পড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মালদহ, নদীয়া, পুরুলিয়ায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen