মুজিবের বাড়িতে বুলডোজার, সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘ছায়ানট’ ভবনেও হামলা, ‘মব লিঞ্চিং’র বলি এক
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:৪৭: শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকে উত্তাল বাংলাদেশ। রাতভর তাণ্ডব চলছে।
জায়গায় জায়গায় পথে নেমেছে জনতা। অভিযোগ, ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাড়িতে বুলডোজার চালানো হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের অফিসগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিক্ষোভকারীদের মুখে ছিল শেখ হাসিনা এবং ভারত-বিরোধী স্লোগান। খুলনায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে এক সাংবাদিককে। অন্যদিকে, ময়মনসিংহে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে এক হিন্দু যুবককে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মুজিবের বাড়ি ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ভাঙচুর চালায় উন্মত্ত জনতা। চালানো হয় বুলডোজার। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনেও হামলা চালানো হয়েছে। লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। সূত্রের খবর, রাতে একদল বিক্ষোভকারী হঠাৎ ভবনে হামলা চালায়। ভবনের চার ও পাঁচ তলায় আগুন দেওয়া হয়। দমকল নিয়ন্ত্রণে আনে আগুন।
অন্যদিকে, ময়মনসিংহের ভালুকায় এক হিন্দু যুবকের বড়িতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, পিটিয়ে খুন করার পর তাঁর দেহ গাছে বেঁধে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। নিহত যুবকের নাম দীপুচন্দ্র দাস। পোশাক কারখানায় কাজ করতেন ওই যুবক। সংবাদ মাধ্যম, বঙ্গবন্ধু মুজিব ও আওয়ামি লিগ, মুক্ত চিন্তার সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান এবং ভারতীয় দূতাবাসকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়। অভিযোগ, পুলিশ বা সেনাবাহিনীকে কোথাও দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
চট্টগ্রামে নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার ড. রাজীব রঞ্জনের বাসভবনেও হামলা করে একদল বিক্ষোভকারী।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হামলা ও অগ্নিসংযোগের খবর আসতে থাকে। রাত বাড়তেই বাড়তে থাকে তাণ্ডব। এছাড়াও বহু স্থানে গতকাল রাত থেকে রাস্তা অবরোধ চলছে। শুক্রবার সকালেও বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল করে মানুষ শাহবাগে আসছেন। নতুন করে আরও উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা করা হচ্ছে।