CAA নিয়ে নয়া নির্দেশ: ২০২৪ পর্যন্ত নাগরিকত্বের আবেদন? সুকান্তর দাবিকে ‘ভুয়ো’ বলল তৃণমূল
যা সাধারণ মানুষকে উদ্বেগে ফেলবে। নির্বাচন কমিশন SIR নামের যে প্রক্রিয়া আনতে চাইছে, সেটাও আসলে এনআরসিরই অন্য রূপ।”

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০.৫৫: সিএএ নিয়ে ফের বিতর্ক ছড়াল রাজ্যে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আসা অ-মুসলিম শরণার্থীরাও নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে সেই দাবি ভুয়ো বলে আক্রমণ শানাল তৃণমূল কংগ্রেস।
সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) মঙ্গলবার এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক কাট-অফ তারিখ এগিয়ে এনে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ করেছে। এজন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ।” যদিও কিছুক্ষণ পরই তিনি সেই পোস্ট মুছে দেন।
পাল্টা সাকেত গোখলে (Saket Gokhale), তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ, বলেন- “আইনের কাট-অফ তারিখ এভাবে পরিবর্তন করা যায় না। এর জন্য সংসদে ফের সংশোধনী আনতে হবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন। ফ্যাক্ট চেক কি এ ক্ষেত্রে নীরব থাকবে?”
আরও পড়ুন: CAA-র সময়সীমা বাড়ানো: নাগরিকত্ব নাকি ভোটের অঙ্কে ঘুঁটি সাজাচ্ছে কেন্দ্র?
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় সরকার নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) পাশ করে। পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে নিপীড়িত হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও পারসি সম্প্রদায়ের মানুষ এই আইনের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। শর্ত অনুযায়ী, নাগরিকত্বের আবেদন করতে হলে অন্তত এক বছর এবং গত ১৪ বছরের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচ বছর ভারতে বসবাস করতে হবে। অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয় ও মিজোরামের বাসিন্দাদের জন্য কিছু বিশেষ ছাড় রাখা হয়েছে।
২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে এই আইনের রুলস তৈরি করে কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গের মতুয়া ও নমঃশূদ্র সম্প্রদায়ের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণের আশ্বাসে সিএএ ক্যাম্পও হয়। মতুয়া সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) উদ্যোগে সেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়।
এ নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা (Shashi Panja) বলেন, “আমরা শুরু থেকেই সিএএ-র (CAA) বিরোধী। এর পরে এনআরসি (NRC) আনার চেষ্টা হবে, যা সাধারণ মানুষকে উদ্বেগে ফেলবে। নির্বাচন কমিশন SIR নামের যে প্রক্রিয়া আনতে চাইছে, সেটাও আসলে এনআরসিরই অন্য রূপ।”