আধ্যাত্মিক মনোবিজ্ঞানের বিশেষ Ph.d কোর্স চালুর পথে Calcutta University

২৭ ফেব্রুয়ারি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করবে বলে জানা যাচ্ছে

February 26, 2024 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আধ্যাত্মিক মনোবিজ্ঞানের (Theology) বিশেষ পিএইচডি (PHD) কোর্স চালু করতে চলেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্টে এই বিশেষ পিএইচডি কোর্স শুরু হবে। এই উদ্যোগে যৌথভাবে সামিল হচ্ছে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। ২৭ ফেব্রুয়ারি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটি মউ স্বাক্ষর করবে বলে জানা যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ইস্কনের প্রতিষ্ঠাতা এসি ভক্তিবেদান্ত স্বামী প্রভুপাদ ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার ইস্কনেরই অনুসারী। ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টারের দাবি, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে (Calcutta University) নানা পাঠ্যক্রম যৌথভাবে চালুর বিষয়ে শ্রীল প্রভুপাদ আগেই ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা অনুদান, চেয়ার প্রফেসরশিপ, কোর্স ইত্যাদি চালু করেছে ভক্তিবেদান্ত রিসার্চ সেন্টার। আধুনিক ম্যানেজমেন্ট শিক্ষায় আধ্যাত্মের প্রভাব নিয়ে পিএইচডি কোর্স এই প্রথম চালু হচ্ছে।

জাতীয় শিক্ষানীতিতে বর্ণিত ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও ঢুকছে। উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম চালু করার নির্দেশ দিয়েছিল দেশের শিক্ষামন্ত্রক। তারপরই দুই শিবিরে ভাগ হয়ে যান শিক্ষাবিদরা। একদলের মত, ভারতের প্রাচীন জ্ঞানভাণ্ডারের সঙ্গে আধুনিক শিক্ষার মেলবন্ধন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। অন্য শিক্ষাবিদদের মতে, মোদী সরকার (Modi Govt) জোর করে বিভিন্ন অপবিজ্ঞান, পৌরাণিক শাস্ত্রের অপব্যাখ্যা চাপিয়ে দিচ্ছে। ফলে এহেন পিএইচডি কোর্স ম্যানেজমেন্ট, পাবলিক সিস্টেম এবং সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার বিষয়ক হবে। মন্দিরের অর্থনীতিও থাকবে বিষয়ের অধীনে। ম্যানেজমেন্টে কোনও ব্যক্তির আধ্যাত্মিক মানসিকতা, মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠানে কীভাবে প্রভাব ফেলে, তাও থাকছে। সাউন্ড থেরাপির মতো বিষয়ও এই কোর্সের অন্যতম উপাদান। বৈদিক পদ্ধতির সঙ্গে আধুনিক ম্যানেজমেন্ট শিক্ষার মেলবন্ধন করার চেষ্টা হচ্ছে। কোর্স আদৌ সফল হবে কিনা, সে উত্তর দেবে সময়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen