করোনার জের, নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির সিলেবাস কমাচ্ছে সিবিএসই

২৫% পর্যন্ত পাঠ্যক্রম কমানোর কথা জানিয়েছে আইসিএসই-ও।

July 8, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

অবশেষে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য পাঠ্যক্রমের ভার কমানোর কথা ঘোষণা করল সিবিএসই। আজ মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্কের টুইট, “প্রত্যেক বিষয়ের (সাবজেক্ট) মূল ধারণাগুলিকে কাটছাঁট না-করেও ৩০% পর্যন্ত পাঠ্যক্রম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

যদিও যে সব অংশ বাদ দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে। শিক্ষাজগত থেকে শুরু করে বিরোধী শিবির, উভয়েরই মত হল, যা যা বাদ পড়েছে তার মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে এবং শিক্ষামন্ত্রী যা বলছেন, তার ঠিক উল্টো ঘটনাটাই ঘটেছে। অর্থাৎ বিষয়ের মূল ধারণাগুলিতেই কোপ পড়েছে। তাঁদের অভিযোগ, মোদী সরকার রাষ্ট্রবাদী মতাদর্শ চাপিয়ে দিতে চায়। সব রকম প্রশ্নের মুখ চাপা দিতে চায়। কাই ধর্মনিরপেক্ষতা, নাগরিকত্ব, গণতান্ত্রিক অধিকারের মতো বিষয় বাদ পড়ে রাষ্টবিজ্ঞানের সিলেবাস থেকে।

সিবিএসই-র দাবি, অতিমারির আক্রমণে এ বছর পড়ানোর সময় মিলছে কম। সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। তা করা হয়েছে প্রত্যেক বিষয়ের জন্য নির্দিষ্ট কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী। পরিবর্তিত পাঠ্যক্রম তুলে দেওয়া হয়েছে বোর্ডের ওয়েবসাইটে। ২৫% পর্যন্ত পাঠ্যক্রম কমানোর কথা জানিয়েছে আইসিএসই-ও।

সিবিএসই-র বিবৃতি অনুযায়ী, শুধু এ বছরের জন্য পাঠ্যক্রম থেকে বাদ পড়া বিষয়ের কোনওটি যদি পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত কোনও অংশ বোঝার ক্ষেত্রে জরুরি হয়, তবে অবশ্যই পড়ুয়াদের তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত। কিন্তু বাদ দেওয়া ওই সমস্ত অংশ সারা বছরের অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন কিংবা বছর শেষের বোর্ডের পরীক্ষায় থাকবে না। বাড়িবন্দি অবস্থাতেও পড়াশোনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এনসিইআরটি-র তৈরি বিকল্প শিক্ষা নির্ঘণ্ট আগেই জারি করা হয়েছে। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য তা অনুসরণ করতে পারে সিবিএসই স্কুলগুলি।

অনলাইন-পাঠ চালু হলেও, তা ক্লাসে বসে শিক্ষার সমতুল নয় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে পাঠ্যক্রম ছাঁটাইয়ের দাবি উঠছিল অনেক দিন থেকেই। কিন্তু এ দিন সে কথা ঘোষণার পরেও প্রশ্ন রয়ে গেল বিস্তর। অনেকের জিজ্ঞাসা, এই পাঠ্যক্রম পড়ে দ্বাদশের গণ্ডি টপকানো পড়ুয়াদের ডাক্তারি-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষাও কি নেওয়া হবে পরিবর্তিত পাঠ্যক্রম অনুযায়ী? বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তির পরীক্ষাই বা নেওয়া হবে কোন পাঠ্যক্রমের ভিত্তিতে? যদি ওই সমস্ত পরীক্ষায় পাঠ্যক্রমের বহর না-কমে, তা হলে অন্তত দ্বাদশের পড়ুয়াদের চাপ কমবে না। একই কথা সত্যি একাদশে ভর্তির জন্য কোথাও পুরো পাঠ্যক্রমে পরীক্ষা দিতে হলে। তাই সবার আগে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি-সহ সমস্ত পক্ষকে ধোঁয়াশা কাটানোর আর্জি জানাচ্ছে পড়ুয়ারা। অনেকের দাবি, কমানো হোক প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির পাঠ্যক্রমও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen