Census: নভেম্বরেই শুরু দেশের প্রথম পরীক্ষামূলক ডিজিটাল জনগণনা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ২০:৪১: এসআইআর (SIR) নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। এর মাঝে প্রায় ১৫ বছর পর দেশে ফের শুরু হতে চলেছে জনগণনার প্রক্রিয়া (Census 2027)। সামনের নভেম্বর মাস থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে শুরু হবে জনগণনার প্রথম ধাপ, এমনটাই ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের নির্বাচিত কিছু এলাকায় পরীক্ষামূলক সমীক্ষা চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে। লক্ষ্য, ডিজিটাল পদ্ধতির পরিকাঠামো ও কার্যকারিতা খতিয়ে দেখা।
ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল ও সেনসাস কমিশনার (Census Commissioner) মৃত্যুঞ্জয়কুমার নারায়ণ (Mritunjay Kumar Narayan) বৃহস্পতিবার একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানান, ১০ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই পরীক্ষামূলক সমীক্ষা। এর আগে, ১ থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত নাগরিকেরা নিজেরাই নির্দিষ্ট ফর্ম পূরণ করে ডিজিটাল (Digital) মাধ্যমে তথ্য জমা দিতে পারবেন। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, নতুন ব্যবস্থায় কোনও প্রযুক্তিগত বা পদ্ধতিগত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে কি না, তা যাচাই করতেই এই উদ্যোগ।
২০১১ সালে শেষবার দেশে জনগণনা (Census) হয়েছিল। নিয়ম অনুযায়ী, ২০২১ সালে পরবর্তী জনগণনা হওয়ার কথা থাকলেও কোভিড অতিমারির (COVID) কারণে তা সম্ভব হয়নি। সূত্রের খবর, ২০২১ সালেই জনগণনার জন্য একটি বিশেষ অ্যাপ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। তবে বর্তমানে সেই অ্যাপ নতুন করে তৈরি হচ্ছে, যাতে আধুনিক প্রযুক্তি ও মোবাইল ব্যবহারের সুবিধা যুক্ত করা যায়।
এই ডিজিটাল জনগণনায় গণনাকারীরা মোবাইলের মাধ্যমেই তথ্য সংগ্রহ করবেন। যদি কেউ খাতায়কলমে তথ্য সংগ্রহ করেন, তবে তা নির্দিষ্ট ওয়েব পোর্টালে (Web Portal) আপলোড করতে হবে। এতে ভুলের সম্ভাবনা কমবে এবং তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া আরও দ্রুত ও নির্ভুল হবে। এই প্রথমবার জনগণনার তথ্য সরাসরি গণনাকারীর স্তরেই ডিজিটালাইজড হবে, যা সময়মতো তথ্য পাওয়ার ক্ষেত্রে বড় সুবিধা এনে দেবে।
জনগণনা হবে দুই ধাপে। প্রথম ধাপে, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে বাড়ি, জমি ও সম্পত্তি সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে, ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে জনসংখ্যা গণনা। তবে লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে তুষারপাতের কারণে জনগণনার কাজ আগেই, ২০২৬ সালের সেপ্টেম্বরেই সম্পন্ন করা হবে।