সুপ্রিম রায়কে সমর্থন কেন্দ্রের, বিপন্ন আরাবল্লি! প্রতীকী অনশন, প্রতিবাদে কি রক্ষা পাবে বনভূমি-পাহাড়?

December 21, 2025 | 2 min read
Published by: Saikat

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২১:৩৮: সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) রায়ে কার্যত বিপন্ন আরাবল্লি (Aravalli)। ইতিমধ্যেই তার প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। আজ, রবিবার, ২১ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে ভিওয়ানির তোষম পাহাড়ে শুরু হয়েছে এক দিনের প্রতীকী অনশন। অন্যদিকে, আরাবল্লি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সমর্থন জানিয়েছে কেন্দ্র সরকার।

আরাবল্লি পাহাড়শ্রেণি সংরক্ষণের দাবিতে রাজস্থান এবং হরিয়ানার বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদে সরব হয়েছেন স্থানীয়েরা। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের ঠিক এক মাসের মাথায়, রবিবার হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলায় অনশন কর্মসূচি শুরু হল। পরিবেশকর্মীদের পাশাপাশি অনশনে বসবেন গ্রামবাসীরাও। আজ, ২১ ডিসেম্বর সকাল থেকে ভিওয়ানির তোষম পাহাড়ে এক দিনের প্রতীকী অনশন চলল। তোষম পাহাড় আরাবল্লির সবচেয়ে উত্তরের অংশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জেরে প্রশ্নের মুখে পড়েছে আরাবল্লির বেশির ভাগ পাহাড়ের অস্তিত্ব।

উল্লেখ্য, প্রায় ৬৯২ কিলোমিটার এলাকাজু়ড়ে দিল্লি, হরিয়ানা, রাজস্থান এবং গুজরাতের মধ্য দিয়ে বিস্তৃত আরাবল্লি। যা স্মরণাতীত কাল থেকে উত্তর ভারতের ঢাল হিসাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। থর মরুভূমি থেকে উড়ে আসা বালি এবং ধূলিকণাকে রুখে দেয় পাহাড়গুলি। দিল্লির বায়ুদূষণ কমাতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন রাজ্যের ৩৭টির বেশি জেলার বহু সম্প্রদায়ের প্রয়োজনীয় জ্বালানি কাঠ, পশুখাদ্য, ভেষজ ঔষধির ভাণ্ডার আরাবল্লির বনভূমি।

নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট জানায়, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০০ মিটারের উচ্চতা হলে তবে সেই পাহাড়কে আরাবল্লির অংশ বলা যাবে।
কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের প্রস্তাব ছিল, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে না, আশপাশের এলাকার চেয়ে ১০০ মিটার বা তার বেশি উচ্চতা বিশিষ্ট ভূখণ্ডই কেবলমাত্র আরাবল্লি পাহাড় বলে গণ্য হোক। দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেন্দ্রের প্রস্তাবে সিলমোহর দিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে, আরাবল্লি বলতে যে সব পাহাড়কে এ যাবৎ গণ্য করা হত, তার বেশির ভাগই আর পাহাড় বলে গণ্য হবে না। সে সব এলাকায় সহজে খননকাজ চালানো যাবে। নির্বিচারে গজিয়ে উঠবে পর্যটনকেন্দ্র। এই রায়ের পর থেকে রাজ্যে রাজ্যে আন্দোলন শুরু হয়েছে। সমাজমাধ্যমেও শুরু হয়েছে প্রতিবাদ। গ্রামবাসী, আইনজীবী, রাজনীতিক, পরিবেশকর্মী নানা ক্ষেত্রের মানুষ সরব হয়েছেন। ‘পিপল ফর আরাবল্লি’, ‘স্ট্যান্ড উইথ নেচার’ মতো সংগঠন প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। দাবি উঠেছে, ৬৯২ কিলোমিটার দীর্ঘ আরাবল্লি পাহাড়শ্রেণিকে ‘গুরুত্বপূর্ণ পরিবেশগত অঞ্চল’ ঘোষণা করা হোক। ওই এলাকায় সব ধরণের খননকাজ অবিলম্বে বন্ধ করা হোক।

রবিবার কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব, সুপ্রিম কোর্টের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর দাবি, নব্বই শতাংশ পাহাড় রক্ষা পাবে। দুই শতাংশ অঞ্চলে খনন কার্য চালানো যাবে। কিন্তু পরিবেশকর্মীদের দাবি সম্পূর্ণ ভিন্ন, তাঁদের মতে সুপ্রিম রায় বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল, জলের জোগান, দূষণ নিয়ন্ত্রণ এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen