কারা এখন দেশের সবথেকে বড় ১০জন ঋণখেলাপি? তৃণমূল সাংসদের প্রশ্নে নিশ্চুপ কেন্দ্র

১৯৩৪ সালে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া আইনের ৪৫-ই ধারা অনুযায়ী এই তথ‌্য দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে। বলা হয় এই ধারায় উল্লেখ আছে, ঋণ সংক্রান্ত তথ‌্য অত‌্যন্ত গোপনীয়, তাই তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

February 9, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

ঋণখেলাপি (Bank defaulters) সংক্রান্ত কোনও তথ‌্য জানাল না কেন্দ্র। দেশে এই মুহূর্তে সবথেকে বড় দশজন ঋণখেলাপি কারা? সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে এই তথ‌্য জানতে চান তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মালা রায় (Mala Roy)। যার কোনও জবাব দেয়নি নির্মলা সীতারমণের (Niramla Sitharaman) মন্ত্রক। যদিও এর পিছনে নিয়মের বেড়াজালের কথাও জানানো হয়েছে। ১৯৩৪ সালে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া আইনের ৪৫-ই ধারা অনুযায়ী এই তথ‌্য দেওয়া সম্ভব নয় বলেই জানানো হয়েছে। বলা হয় এই ধারায় উল্লেখ আছে, ঋণ সংক্রান্ত তথ‌্য অত‌্যন্ত গোপনীয়, তাই তা প্রকাশ করা সম্ভব নয়।

এদিন লোকসভায় প্রশ্নোত্তরপর্বে মৌখিক প্রশ্ন করার কথা ছিল দক্ষিণ কলকাতার সাংসদের। অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে না পারায় লিখিতভাবে উত্তর দেয় অর্থমন্ত্রক। যা পড়ার পর বেশ হতাশ মালা রায়। বলেন, “এটা কীভাবে সম্ভব? আমরা তো জনপ্রতিনিধি। আমাদেরও জানাবে না এমন কোনও আইন থাকতে পারে? যতদূর মনে পড়ছে এর আগেও এই ধরনের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু এবার কেন এমন উত্তর দেওয়া হল, বুঝলাম না।” শুধু এখানেই শেষ নয়। ব্যাংকগুলির অনুৎপাদক সম্পদ (NPA) সংক্রান্ত কিছু তথ‌্যও তিনি জানতে চান এদিন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, গত দু’বছরে কি ব্যাংকগুলির এনপিএ বেড়েছে? বাড়লে কতটা? উত্তরে শুধু বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের তুলনায় গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর ব‌্যাঙ্কগুলির এনপিএ ২০.১ শতাংশ কমেছে। যদিও দুই বছরের বিস্তারিত কোনও তথ‌্যই দেওয়া হয়নি।

বস্তুত, মোদি জমানার অন্যতম বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এই ঋণখেলাপি। বিজয় মালিয়া, নীরব মোদি থেকে শুরু করে মেহুল চোকসি পর্যন্ত বহু শিল্পপতিই মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে ভারত ছেড়েছে গত কয়েকবছরে। সেটাই অস্বস্তি বাড়িয়েছে সরকারের। যে কারণেই হোক, তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের এই প্রশ্নের জবার দিতে না পারাটা যে সরকারকে এই ইস্যুতে আরও ব্যাকফুটে ফেলবে, সেটা বলাই যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen