জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্যের বিকল্প প্রস্তাবে রাজি কেন্দ্র
তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Ray) এবিষয়ে টুইট করেন

রাজ্যের জিএসটি (GST) ক্ষতিপূরণের টাকা মেটাতে কেন্দ্র নিজেই দুই তৃতীয়াংশ ঋণ নিয়ে রাজ্যগুলিকে দিতে রাজি হয় কেন্দ্র। বাকি টাকা কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে ধার করার নির্দেশ দেয়। শুক্রবার রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র (Amit Mitra) কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে এ বিষয়ে চিঠি লিখে বলেন, ‘‘আপনি রাজ্যের আয়ে ঘাটতির তিন ভাগের দু’ভাগ ঋণ করতে রাজি হয়েছেন। বাকি এক ভাগ দরকার পড়লে রাজ্যকে ধার করতে বলছেন। কিন্তু নিজে ঋণ নিয়ে রাজ্যকে ঋণ দিলে কেন্দ্রের রাজকোষ ঘাটতি বাড়ছে না। ২০২২-এর পরেও জিএসটি বসিয়ে ঋণ শোধ হচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্র ৫%-এর কম সুদে ঋণ পায়। কিন্তু রাজ্যের ক্ষেত্রেই সেটা ৬.৮% সুদ দিতে হয়। এর ফলে রাজ্যের ঘাড়ে সুদে-আসলে অনেক বেশি ঋণের বোঝা চাপে।’’ এই যুক্তিতে বাকি ৭২ হাজার কোটি টাকাও কেন্দ্রকে ঋণ নিয়ে রাজ্যকে ঋণ দিতে আর্জি জানিয়েছিলেন অমিত মিত্র। এ বিষয়ে জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডাকারও প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি। কেরল, ছত্তীসগঢ়ের মতো বিরোধী শাসিত রাজ্যও এই বিকল্প প্রস্তাবেই সহমত পোষণ করে।
পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজ্যগুলির এই বিকল্প প্রস্তাব মেনে নিল কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রক। বাকি রাজ্যগুলি কেন্দ্রের পূর্ব প্রস্তাবেই সমর্থন জানিয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রক যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দেয় যে সেই সিদ্ধান্তে গলদ আছে। আর শেষ পর্যন্ত রাজ্যের দর্শানো পথই অনুসরণ করে কেন্দ্র।
তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Ray) এবিষয়ে টুইট করে বলেন ‘সংখ্যাগরিষ্ঠতার ওপর প্রাধান্য পেল যুক্তিবাদ’।