বাংলা ভাগ হতে চলেছে? পড়ুন বিস্তারিত

চিঠিতে গোর্খাল্যান্ড শব্দটি ব্যবহার করায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে।

October 5, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi
ছবি: সংগৃহীত

দরজায় কড়া নাড়ছে বাংলার বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগেই গোর্খাল্যান্ড নিয়ে ফের হইচই জুড়ল বিজেপি। ফের এই ইস্যুতে আলোচনার জন্য ত্রিপাক্ষিক বৈঠক ডেকেছে কেন্দ্র সরকার। এ নিয়ে রাজ্যকে ইতিমধ্যে চিঠিও পাঠিয়েছে তারা। তবে বৈঠকে আদৌ কেউ উপস্থিত থাকবেন কিনা রাজ্যের তরফে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

৭ অক্টোবর সকাল ১১টায় দিল্লির নর্থ ব্লকের অফিসে বৈঠক ডেকেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি। বিষয়, গোর্খাল্যান্ড। রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, দার্জিলিঙের জেলাশাসক, জিটিএ-র প্রধান সচিব ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সভাপতিকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।  আর তা নিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে শনিবার। এত অল্প সময়ের নোটিশে এমন বৈঠক ডাকা নিয়ে ইতিমধ্যে জলঘেলা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, ইতিপূর্বে ৭ আগস্ট বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের তরফে কেউ হাজির না হওয়ায় সেই বৈঠক ভেস্তে যায়। ফের এই ইস্যুতে রাজ্যকে চিঠি দিল কেন্দ্র।

চিঠিতে গোর্খাল্যান্ড (Gorkhaland) শব্দটি ব্যবহার করায় বিতর্ক দানা বেঁধেছে। তৃণমূলের প্রশ্ন, নির্বাচন এলেই বাংলা ভাগের আন্দোলনে উসকানি দেয় বিজেপি। এবারও তাই করছে তারা। কিন্তু তাদের এ ধরণের আচরণ কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না। বৈঠকে কি রাজ্যের প্রতিনিধি হাজির থাকবেন, এ বিষয়ে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়ে যা বলার নবান্ন বলবে। তাঁরাই ঠিক করবেন কী হবে।

সাংসদ রাজু বিস্তা বিজেপির (BJP) নির্বাচনী ইস্তেহারে থাকা পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান দাবি করেন সংসদে। সেই সময় পাহাড়ের সঙ্গে তরাই-ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকাও জুড়ে দেন। সংসদে তিনি বলেন,”মোদি সরকার ইতিমধ্যে একাধিক বড় সমস্যার সমাধান করেছে। তাই  পাহাড়, তরাই ও ডুয়ার্সের মানুষ আশা করেন গোর্খাল্যান্ড নিয়ে যে সমস্যা রয়েছে তার দ্রুত ও স্থায়ী সমাধান বের হবে। সেখানকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে গোর্খাল্যান্ডের দাবি জানিয়ে আসছেন। এটা সাংবিধানিক দাবি। সরকার দু’বার বিভিন্নভাবে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি।

তাই আমাদের দল ২০১৯ সালের নির্বাচনী ইস্তেহারে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল”। সেই প্রতিশ্রুতি দ্রুত পালনের আরজি জানান সাংসদ। তাঁর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে মাঠে নামে তৃণমূল-সহ বিরোধী দলগুলি। এর কিছুদিনের মধ্যে কেন্দ্রের চিঠি ‘গোর্খাল্যান্ড’ শব্দটি উল্লেখ করা, ও বৈঠক ডাকার পিছনে বিজেপি সাংসদেরই হাত দেখছে ওয়াকিবহাল মহল। 

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen