এক দশকে ১২ লক্ষ কোটিরও বেশি ঋণ মকুব কেন্দ্রের, সংসদে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৪০: একদিকে ব্যবসায়ীদের ঋণ মকুব, অন্যদিকে আম জনতাকে ঋণ আদায়ের জন্য চাপ! ব্যাঙ্কের দ্বিচারিতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, বিগত ১০ বছরে কেন্দ্রের অধীনস্থ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলো ১২ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ঋণ মকুব করেছে। বিপুল অঙ্কের ঋণ মকুবের তথ্য প্রকাশ্যে আসতেই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত শুরু হয়েছে। দেশের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা ও ঋণ পুনরুদ্ধারের কাঠামো যে কত দুর্বল, তা প্রমাণিত হয়েছে এই পরিসংখ্যানে।
সরকারি হিসেব অনুসারে, ২০১৫-১৬ অর্থবর্ষ থেকে ২০২৪-২৫ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি মোট ১২ লক্ষ ৮ হাজার ৮২৮ কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছে। যদিও কেন্দ্রের দাবি, এই ঋণ মকুব মানে ঋণগ্রহীতার দায় শেষ হয়ে যাওয়া নয়। অর্থমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ অর্থবর্ষেই প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকা ঋণ মকুব করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ঋণ মকুব করেছে দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। পাঁচ বছরে ১ লক্ষ ১৪ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ মাফ করেছে তারা। চলতি অর্থবর্ষের মকুব হয়েছে প্রায় ২০ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনও বিবৃতি দেয়নি এসবিআই।
পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক মকুব করেছে ৮১,২৪৩ কোটি, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ৮৫,৫৪০ কোটি ঋণ মাফ করেছে, ব্যাঙ্ক অফ বরোডা ৭০,০৬১ কোটি ঋণ মাফ করেছে, ক্যানারা ব্যাঙ্ক ১৪,৩৫০ কোটি টাকা ঋণ ছাড় দিয়েছে।
এখানেই বিরোধীদের অভিযোগ, সাধারণ মানুষের প্রকল্পের টাকা আটকে রেখে পুঁজিপতি বন্ধুদের জন্য টাকা ছাড় দিচ্ছে মোদী সরকার। বাংলার ক্ষেত্রে ১০০ দিনের কাজ বা আবাস যোজনার টাকা এখনও আটকে রয়েছে, অথচ লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার ঋণ মাফ হচ্ছে! এহেন বৈষম্যমূলক আচরণের তীব্র সমালোচনা করছে রাজ্য সরকার।