করোনায় মৃত্যুর দায় কেন্দ্রের, তোপ দাগলো তৃণমূল
ঠিক সময়ে ঘুম ভাঙেনি কেন্দ্রর। যখন দেশে এক-দু’টি করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে, তখন বন্ধ করেনি রেল ও বিমান পরিষেবা। উল্টে এখন বাংলাকে ভারতের উহান প্রমাণ করতে মরিয়া বিজেপি। কেন্দ্রের সক্রিয়তার অভাবেই সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এমনটাই দাবি তৃণমূলের।
ঠিক সময়ে ঘুম ভাঙেনি কেন্দ্রর। যখন দেশে এক-দু’টি করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটে, তখন বন্ধ করেনি রেল ও বিমান পরিষেবা। উল্টে এখন বাংলাকে ভারতের উহান প্রমাণ করতে মরিয়া বিজেপি। কেন্দ্রের সক্রিয়তার অভাবেই সারা দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এমনটাই দাবি তৃণমূলের।
বাংলার মানুষকেও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের জন্যই খেসারত দিতে হচ্ছে, এই অভিযোগ এনে পাল্টা আক্রমণ শানাল রাজ্যের শাসকদল। শুধু তাই নয়, দেশে করোনা-মৃত্যুর দায় নিতে হবে কেন্দ্রকেই। এই দাবি তুলে মঙ্গলবার দলের তিন মন্ত্রী এবং এক সাংসদ ভিডিয়ো কনফারেন্সে সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপির কড়া সমালোচনা করলেন। বুধবারও তৃণমূলের সংসদীয় দল ভিডিয়ো কনফারেন্স করবে।

মঙ্গলবার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শান্তনু সেন একযোগে আক্রমণ শানান কেন্দ্র, কেন্দ্রীয় সরকার, সদ্য ফিরে যাওয়া কেন্দ্রীয় দল এবং বিজেপিকে। বাংলার রাজ্যপাল হয়ে জগদীপ ধনখড় কেন কেন্দ্রের কাছে বাংলার বকেয়া টাকা চেয়ে চিঠি লিখছেন না, কেন গুজরাট, মধ্যপ্রদেশের কথা মুখে আনছেন না সেই প্রশ্নও এ দিন তুলেছেন তৃণমূলের নেতারা। তাঁদের বক্তব্যের নির্যাস ছিল, রাজ্যের উপর গোয়েন্দাগিরি করতে কেন্দ্র বিশেষ দল পাঠিয়েছে। তবে মৃত্যুর দায় রাজ্যের ঘাড়ে ঠেলে দিলে চলবে না।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি দল এবং তাদের সরকার বাংলাকে উহান নগরী প্রমাণের চক্রান্ত চালাচ্ছে। অথচ হু যখন সাবধান করেছিল, তখন বিজেপি মধ্যপ্রদেশে ঘোড়া কেনাবেচায় ব্যস্ত। ট্রাম্পকে ডেকে এনে নানা রকম খেলা দেখাল। গোটা দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়ল। ত্রুটিপূর্ণ কিট পাঠাল। আর এখন যত দোষ সব রাজ্যের। এত সংক্রমণ এবং মৃত্যুর দায় বিজেপিকে নিতেই হবে।’
চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর প্রশ্ন, ‘আইসিএমআর থেকে যে তথ্য প্রকাশ করা হচ্ছিল, সেগুলো এখন অন্য ভাবে করা হচ্ছে কেন? গুজরাটে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত কেন?’ রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘এখন মধ্যপ্রদেশের কী অবস্থা?’ সদ্য ঘুরে যাওয়া কেন্দ্রীয় দলের কনভয়ের গাড়ির চালক বিএসএফ জওয়ানের করোনা ধরা পড়ায় পার্থর প্রশ্ন, ‘কেন্দ্রীয় দলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়েছিল কি?’
রাজ্যপালের সমালোচনায় মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এটা রাজ্যপালেরও সরকার। উনি মুখ্যমন্ত্রীকে এই ভাষায় চিঠি লিখে নিজেরই অবমাননা করছেন। বিজেপি তৃণমূলকে কলুষিত করতে গিয়ে বাংলার মানুষকে কলুষিত করছে।’