গাফিলতির দায় CESC-কে নিতেই হবে’, মৃতদের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে বিদ্যুবন্টন সংস্থাকে তোপ মমতার

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:২৫: রাতভর নাগাড়ে বৃষ্টির জেরে ভাসছে কলকাতা। জলবন্দি গোটা শহর। ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একের পর এক মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসছে। এই মৃত্যুর জন্য সিইএসসির গাফিলতিকেই দায়ী করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি মৃতদের পরিবারের পাশে থাকবেন।
মঙ্গলবার এক বেসরকারি বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকারে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এর দায় সিইএসসি-কে নিতে হবে। এখনই তাঁরা জরুরি ভিত্তিতে কর্মীদের নামাক। এখানে ব্যবসা করছে। আর পরিকাঠামো মর্ডানাইজেশন করছে রাজস্থানে। এখানে আধুনিকীকরণের কাজ করছে না। বলতে বলতে আমার মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে।” সিইএসসি-র কাছে মৃতদের পরিবার পিছু এক জনকে চাকরি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
আজ, মঙ্গলবার সকলকে বাড়িতে থাকার পরামর্শ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ কারও বেরোনোর প্রয়োজন নেই। বেসরকারি সংস্থাগুলির কাছে অনুরোধ, দয়া করে আজ আপনারা কারও ছুটি কাটবেন না।” আরও জানিয়েছেন, “দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্য প্রশাসনের সকলে রাস্তায় থাকবেন। জল বের করবে কোথায়? সব তো ডুবে আছে। আজ কারও বেরোনোর প্রয়োজন নেই।”
উল্লেখ্য, রাতভর ভারী বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত কলকাতার বিভিন্ন অংশ। সকাল থেকে ব্যাহত ট্রেন ও মেট্রো চলাচল। এরই মধ্যে শহরের নানা প্রান্ত থেকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর আসছে। তার প্রেক্ষিতেই সিইএসসি-র গাফিলতিকে নিশানা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে, রাজ্যের সব সরকারি স্কুলে মঙ্গলবার থেকেই পুজোর ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে বুধ ও বৃহস্পতিবার ছুটি ঘোষণা করেছে স্কুল শিক্ষা দপ্তর। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণেই স্কুলগুলিতে পুজোর ছুটি শুরু হয়ে গেল মঙ্গলবার থেকে। আইসিএসই (ICSE) এবং সিবিএসই (CBSE) বোর্ডের স্কুলগুলিকে মঙ্গলবার থেকে অন্তত ২ দিন ছুটি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকেও আগামী ২ দিন অনলাইন ক্লাস করানোর পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।