ত্রাণ শিবিরে থাকা মানুষকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ালেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন
বিশাল আকারের কড়াইয়ে খিচুড়ি ও সোয়াবিনের তরকারি রান্না করেন।

তিস্তার জলে প্লাবিত হয়েছে করলা নদী। বানভাসি হয়ে ত্রাণ শিবিরগুলিতে আশ্রয় নিতে হয়েছে শতাধিক পরিবারকে। শিবিরে থাকা এইসব মানুষকে রাতের খাবার নিজের হাতে রান্না করে খাওয়ালেন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল। পাহাড় ও সমতলে অতিভারী বৃষ্টির জেরে ব্যাপক জলস্ফীতি হয় তিস্তা নদীতে।
কেমন আছেন ত্রাণ শিবিরের মানুষেরা তা দেখতে বুধবার রাতে এলাকায় পৌঁছন জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল। তখন শিবিরের লোকদের জন্য রাতের রান্নার তোড়জোড় চলছিল। রান্নার কাজে হাত লাগান পাপিয়াদেবীও।
বিশাল আকারের কড়াইয়ে খিচুড়ি ও সোয়াবিনের তরকারি রান্না করেন। সেই খাবার পরিবেশন করেন তৃণমূল কর্মীরা। লক্ষ্মীপুজোর রাত কেটেছে ত্রাণশিবিরে। তাই হতাশায় ডুবে ছিলেন এখানে আশ্রয় নেওয়া মানুষজন। এমন দুঃসময়ে পুরসভার চেয়ারপার্সনকে পাশে পেয়ে কিছুটা হলেও মন ভাল হয় তাঁদের।
একইসঙ্গে জল বাড়ে করলা নদীতেও। ফলে জলপাইগুড়ি পুর এলাকার ১, ৩ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ড সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়ে পড়ে। প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বানভাসি মানুষজন আশ্রয় নেন ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাস্তায়। এঁদের পাশে দাঁড়ায় জলপাইগুড়ি পুরসভা এবং তৃণমূলের এসসিএসটি-ওবিসি সেলের সদস্যরা। এলাকায় খোলা হয় ত্রাণ শিবির।