দ্রুত ৯৩ হাজার কোটি বকেয়া মেটান, কেন্দ্রের বৈঠকে দাবি চন্দ্রিমার

করোনার দাপট থেকে আম্পান, যশ, বুলবুলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামাল দিতে পশ্চিমবঙ্গ নিজের ভাঁড়ার থেকে অনেক অর্থ খরচ করেছে।

December 31, 2021 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

বকেয়া ৯৩ হাজার কোটি টাকা শীঘ্রই মেটান। স্বাস্থ্যখাতে বাড়ান বরাদ্দ। পেনশন প্রকল্পে রাজ্যকে আরও বেশি আর্থিক সহায়তা করুন। কর আদায়ের যে অংশ রাজ্য পায়, তা মাসের ২০ তারিখের পরিবর্তে পয়লা তারিখেই দিয়ে দিন। নাহলে রাজ্যকে অহেতুক ধার করে বেতন দিতে হচ্ছে। বাজেট পূর্ববর্তী বৈঠকে হাজির হয়ে বৃহস্পতিবার এমনটাই দাবি রাখল বাংলা। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের ডাকা বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। মানুষের হাতে টাকার জোগান বাড়িয়ে ক্রয়-ক্ষমতা বাড়ানোর পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি।

নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনের বৈঠকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য একদিকে আসন্ন বাজেটে রাজ্যের দাবিগুলিকে যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় জোর দিয়েছেন, কীভাবে রাজ্যের আর্থিক বৃদ্ধির হারকে ইতিবাচকে নিয়ে গিয়েছেন, তারও উল্লেখ করেন। কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠকে চন্দ্রিমা বলেন, দেশে এখন বেকারত্ব বাড়ছে। গোটা দেশে আর্থিক বৃদ্ধির হারও নেগেটিভ। ৭.৩ শতাংশ। কিন্তু বাংলায় তা ১.০৬ শতাংশ পজিটিভ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিকল্পিত নীতির কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে।

করোনার দাপট থেকে আম্পান, যশ, বুলবুলের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামাল দিতে পশ্চিমবঙ্গ নিজের ভাঁড়ার থেকে অনেক অর্থ খরচ করেছে। সেই হিসেবে কেন্দ্রের থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা পাওয়া যায়নি। তাই স্বাস্থ্য খাতে যেমন রাজ্যকে দেওয়ার জন্য বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে, তেমনি দুর্যোগ মোকাবিলাতেও নজর দিতে হবে। পেনশন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে চন্দ্রিমা বলেন, ২৩ লক্ষ লোককে রাজ্য সরকার বার্ধক্য ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী প্রকল্পে সাহায্য করে। কেন্দ্র কোনওটিতে ২০০, কোনটিতে মাত্র ৩০০ টাকা দিয়ে অংশীদারি মেটালেও রাজ্য হাজার টাকা করে ভাতা দেয়। কেন্দ্র-রাজ্য উল্লেখিত প্রকল্পের বাইরেও প্রায় ২৮ লক্ষ রাজ্যবাসীর জন্য একই ধরনের প্রকল্পে অর্থ খরচ করতে হয়। তাই পেনশন প্রকল্পে কেন্দ্রের অংশগ্রহণ বাড়ানোর দাবি করেছেন চন্দ্রিমাদেবী। 
একইসঙ্গে সর্বশিক্ষা মিশন, মিড ডে মিল, স্বচ্ছ ভারত মিশন, বন্যা মোকাবিলার মতো প্রকল্পও রয়েছে। সেখানেও কেন্দ্রীয় সরকারের অংশদারী বাড়াতে হবে। কারণ মানুষের হাতে টাকা না দিলে ক্রয় ক্ষমতা বাড়বে না। অর্থনীতিও চাঙ্গা হবে না। জিএসটির ক্ষতিপূরণের সময় কমপক্ষে আরও ৫ বছর বাড়ানোর দাবির পাশাপাশি রাজ্যকে ঋণ নেওয়ার সীমাবৃদ্ধির কথাও বলেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen