Chhattisgarh Nun Arrests: ছত্তিশগড়ে খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনী গ্রেপ্তার ইস্যুতে কেরলে ব্যাকফুটে বিজেপি
ছত্তিশগড়ের দুর্গ রেলস্টেশনে দু’জন কেরলবাসী খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীকে (Christian nuns) ঘিরে বিক্ষোভ ও তাঁদের বিতর্কিত গ্রেপ্তারে বিপাকে পড়েছে বিজেপি

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:২০: ছত্তিশগড়ের দুর্গ রেলস্টেশনে দু’জন কেরলবাসী খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীকে (Christian nuns) ঘিরে বিক্ষোভ ও তাঁদের বিতর্কিত গ্রেপ্তারে বিপাকে পড়েছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party – BJP)। এই ঘটনায় বিজেপির কেরল শাখা এখন প্রবল চাপে, বিশেষ করে যখন কেরলের রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar) নিজেই দলকে বজরং দলের (Bajrang Dal) থেকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছেন।
গত শুক্রবার ছত্তিশগড়ের দুর্গ রেলস্টেশনে দুই সন্ন্যাসিনীর বিরুদ্ধে স্থানীয় তিনজন নারী, যাদের মধ্যে একজন আদিবাসী (tribal) সম্প্রদায়ের, তাঁদের আগ্রায় নিয়ে গিয়ে “জোর করে” খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তর করার চেষ্টা করার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, বজরং দলের সদস্যরা প্রথমে সন্ন্যাসিনীদের ঘিরে ধরে স্থানীয় পুলিশকে বাধ্য করে তাঁদের গ্রেপ্তার করতে।
এই ঘটনার পরই কেরলে বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে খ্রিস্টান সম্প্রদায়। চার্চ নেতা, শাসক দল সিপিএম এবং বিরোধীপক্ষ কংগ্রেস একযোগে বিজেপিকে আক্রমণ করে। পরিস্থিতির বুঝে বিজেপি কেরলের রাজ্য সভাপতি রাজীব চন্দ্রশেখর এক বিবৃতিতে এই গ্রেপ্তারকে “অযৌক্তিক” (questionable) এবং “অবাঞ্ছিত” বলে উল্লেখ করেন। তিনি স্পষ্ট করেন যে বিজেপি এই ঘটনায় জড়িত কোনো গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখে না।
এই অবস্থায় অনেকেই মনে করছেন, কেরলে খ্রিস্টান ভোটব্যাংক ধরে রাখতেই বিজেপি এখন ব্যাকফুটে।
এই ঘটনা নতুন কিছু নয় – এর আগেও দেশ ফাদার স্ট্যান স্বামীর (Father Stan Swamy) সঙ্গে কী হয়েছিল, তা দেখেছে। ওনার অপরাধ ছিল সমাজের প্রান্তিক আদিবাসী ও দলিতদের পক্ষে আওয়াজ তোলা। ৮৪ বছর বয়সী খ্রিস্টান পাদ্রীকে সন্ত্রাস বিরোধী আইনের (UAPA) আওতায় গ্রেপ্তার করা হয় ২০২০ সালে।
তাঁকে ভীমা কোরেগাঁও মামলায় অভিযুক্ত করা হয়, যদিও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো শক্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাঁকে জামিন না দিয়ে দীর্ঘ সময় জেলে রাখা হয়, এবং সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। শেষমেশ ২০২১ সালের জুলাই মাসে বিচারাধীন অবস্থাতেই তিনি মারা যান। অর্থাৎ, ছত্তিশগড়ের ঘটনা নতুন কিছু নয়।