ফুটবলে কিক মেরে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:৩০: ফুটবলে কিক মেরে বুধবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ডুরান্ড কাপের সূচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের প্রাচীনতম এবং ঐতিহ্যবাহী ফুটবল প্রতিযোগিতা ডুরান্ড কাপ-এর (Durand Cup) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের ও ডুরান্ড কমিটির পদস্থ আধিকারিকরাও। এদিনের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ইস্টবেঙ্গল এবং সাউথ ইউনাইটেড এফসি (East Bengal-South United )। টান টান উত্তেজনার আবহে শহরের ফুটবলপ্রেমীদের জন্য শুরু হল বছরের সবচেয়ে প্রতীক্ষিত টুর্নামেন্ট।
দু’বছর আগেও তিনি বলে কিক মেরে ডুরান্ডের উদ্বোধন করেছেন। গতবছর সরকারি কাজে দিল্লিতে থাকায় উদ্বোধনে আসতে পারেননি তিনি। তবে এবার মাঠে এলেন মুখ্যমন্ত্রী। ফুটবলে প্রথম শট মারলেন। এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন ছৌ নৃত্যশিল্পীরা। অনুষ্ঠানের সূচি তৈরির ক্ষেত্রে স্থানীয় সংস্কৃতির উপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছেন আয়োজকরা। সেই সূত্রেই বাংলার বাউল সংগীতও দেখা যায় ডুরান্ডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। এছাড়াও সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার পাইলটরা যুবভারতীর উপর ‘এয়ার শো’ করেন। সেই সঙ্গে গোর্খা রেজিমেন্টের ‘কুকরি শো’ থেকে শুরু করে শিখ রেজিমেন্টের ‘ভাংড়া’। ছিল মার্শাল আর্টের শো।
ডুরান্ড কাপ জিতলে শুধু একটি ট্রফি নয়, জয়ী দল পায় তিনটি ট্রফি। এগুলি হল- ডুরান্ড কাপ, শিমলা কাপ এবং প্রেসিডেন্টস কাপ (এই ট্রফি স্থায়ীভাবে থেকে যায় জয়ী দলের কাছে)।
রাজ্যের চার প্রধান দল — মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল, মহমেডান স্পোর্টিং ও ডায়মন্ড হারবার এফসি-র সমর্থকদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৫০০০ করে টিকিট। এই টিকিট ক্লাবের মাধ্যমে সমর্থকদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। এ বারের ডুরান্ড হবে ভারতের পাঁচটি শহরের মোট ছ’টি মাঠে। এগুলি হল- কলকাতার যুবভারতী ও কিশোর ভারতী স্টেডিয়াম, অসমের কোকরাঝাড়, মণিপুরের ইম্ফল, মেঘালয়ের শিলং এবং ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুর। তবে কলকাতাতেই হবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ, দুই গ্রুপ মিলিয়ে ১৫টি। পাশাপাশি কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ২৩ অগস্টের ফাইনালও হবে যুবভারতীতে।