নিউটাউনের ঘুনি বসতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৫:৪১: নিউটাউনের কাছে ঘুনি বসতিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার সন্ধ্যায় ঘুনি বসতিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে একাধিক ঝুপড়ি। আশ্রয়হীন প্রায় একশো পরিবার। তাঁরা আপাতত ত্রাণ শিবিরে আছেন। ঘটনার পরই দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে ফোন করে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্ণাঙ্গ তদন্তেরও নির্দেশও দেন মমতা।
আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ঘুনি বসতির বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন জেলাশাসক শশাঙ্ক শেট্টি। প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও এলাকা পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলির সঙ্গেও কথা বলেন জেলা শাসক।
জানা গিয়েছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩০০টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে পুড়ে গিয়েছে বাসিন্দাদের সমস্ত নথি। সব ছেড়ে বেরিয়ে আসতে হয়েছে তাঁদের। SIR আবহে নথি পুড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে সেখানকার মানুষরা। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের। জানা গিয়েছে, শীঘ্র একটি অভিযোগ দায়ের করা হবে। তার ভিত্তিতে দ্রুত নির্দেশিকা জারি করে নথি তৈরি করে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার নিউটাউন ইকোপার্কের অদূরে ঘুনির বসতিতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে যায় রাজারহাটের জ্যাংড়া–হাতিয়াড়া ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অধীনস্থ বসতি। অস্থায়ী প্রায় ৭০–৮০ টি ঝুপড়ি বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে বলে খবর। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, প্রথমে ঝুপড়ির একটি বাড়িতে লাগে আগুন। তারপর আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বাড়িতে মজুত রাখা একের পর এক গ্যাস সিলেন্ডার বিস্ফোরণে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। দমকলের ১০টিরও বেশি ইঞ্জিন কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার সকালেও বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছে।