Trump Tariff: ট্রাম্পের শুল্ক-যুদ্ধ মোকাবিলায় ভারতের পাশে চীন, ট্যাকটিক্যাল টার্নিং পয়েন্ট?
চীনা রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং বলেন, “ভারতের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৫০% শুল্ক সম্পূর্ণ অন্যায়। আমাদের একসঙ্গে দাঁড়িয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে।”

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ১৯:১২: আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বড় ধাক্কা দিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একতরফাভাবে চাপিয়া দিয়েছেন শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত। ভারতের রপ্তানির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলেছে এই পদক্ষেপ। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এর ফলে বৈরিতার আবহ কাটিয়ে অনেকটা কাছে এসেছে নয়াদিল্লি ও বেজিং।
এই পরিস্থিতিতে চীনের সুর নরম হয়েছে। সোমবার নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে চীনা রাষ্ট্রদূত শু ফেইহং স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “ভারতের উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক সম্পূর্ণ অন্যায়। আমাদের একসঙ্গে দাঁড়িয়ে এর মোকাবিলা করতে হবে।” তিনি জানান, ভারত-চীনের মতো দুটি উদীয়মান অর্থনীতি কেবল বাণিজ্য নয়, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার ক্ষেত্রেও পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে পারে।
.শু ফেইহং আরও অভিযোগ করেন, আমেরিকা শুল্ককে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। তাঁর বক্তব্য, ভারত-চীন মিলে এর বিরুদ্ধে একজোট হলে ক্ষতির প্রভাব অনেকটাই কমানো সম্ভব।
ভারত-চীন সম্পর্কের টানাপোড়েন বহু দিনের। কিন্তু ট্রাম্পের চাপানো উচ্চ শুল্ক দুই দেশের অর্থনীতির জন্যই উদ্বেগ তৈরি করেছে। চামড়া-সহ বেশ কয়েকটি খাত যেখানে বিপুল শ্রমিক নির্ভরতা রয়েছে, সেখানে আমেরিকার আরোপিত ৫০ শতাংশ শুল্ক বড় সংকট ডেকে এনেছে। কেন্দ্র আশ্বাস দিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষেত্রগুলিকে সহায়তা করা হবে এবং বিকল্প বাজারের সন্ধান ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।
কূটনৈতিক মহলের মতে, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নতুন করে ভারত-চীনের সম্পর্কে একটি ‘ট্যাকটিক্যাল টার্নিং পয়েন্ট’ তৈরি করেছে। নয়াদিল্লি ইতিমধ্যেই চীনা পণ্যের জন্য কিছুটা দরজা খুলে দিচ্ছে, পাশাপাশি রাশিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনাও চলছে।
সার্বিকভাবে, মার্কিন শুল্কের চাপ কাটিয়ে উঠতে ভারত এখন বিকল্প জোট খুঁজছে। আর সেই পথে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গেও যে দূরত্ব কমাতে প্রস্তুত নয়াদিল্লি, তার স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলল এই কূটনৈতিক বার্তায়।