মন্ত্রী আছেন, নেই দপ্তর! ৪১ দিনেই মোহভঙ্গ, মহারাষ্ট্র এখন বিজেপির গলার কাঁটা

মহারাষ্ট্র দখলের গৌরব এই কদিনেই ফিকে! মহারাষ্ট্র নামক গলার কাঁটায় অস্বস্তিতে বিজেপি। শিন্দের শিবসেনা আর বিজেপি, কে কটা দপ্তর পাবে তা নিয়েই স্বার্থের সংঘাত শুরু হয়েছে দুই শিবিরে।

August 14, 2022 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

মন্ত্রী আছেন, নেই দপ্তর! আজব রাজ্য মুম্বাই। দেশের বাণিজ্য রাজধানীর গদি সামলাচ্ছেন শিন্দে, হাঁটা শুরু করেছে শিন্দে-ফড়নবিশ সরকার। সরকার চলছে কিন্তু মন্ত্রিসভা নেই। বোম্বাইয়ের বোম্বেটে পর্ব মিটিয়ে নতুন সরকার এসে, তার বয়স প্রায় দেড় মাস হয়ে গেল। বেনজিরভাবে মহারাষ্ট্রের মতো একটি রাজ্য ৪১ দিন ধরে চালিয়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী আর উপ মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এবার মন্ত্রিসভা গড়তে গিয়েই বিপত্তি। সূত্রের খবর, দপ্তর বণ্টন নিয়ে শুরু হয়েছে কোন্দল। কে কে সামলাবেন তা নিয়ে জমছে ক্ষোভ।

১৮ জন বিধায়কের মন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ হয়েছে, আজ প্রায় পাঁচ দিন অতিক্রান্ত। কিন্তু তাদের হাতে দপ্তর নেই। মহারাষ্ট্র দখলের গৌরব এই কদিনেই ফিকে! মহারাষ্ট্র নামক গলার কাঁটায় অস্বস্তিতে বিজেপি (BJP)। শিন্দের শিবসেনা আর বিজেপি, কে কটা দপ্তর পাবে তা নিয়েই স্বার্থের সংঘাত শুরু হয়েছে দুই শিবিরে।

বিজেপি এবং বিদ্রোহী শিবসেনার হানিমুন পিরিয়ড শেষ, বন্ধুত্বের ওম সরে গিয়ে শৈত প্রবাহ বইছে। চূড়ান্ত দর কষাকষি চলছে দুই পক্ষের অন্দরে। দুই শিবিরই গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর চাইছে। মহারাষ্ট্রে জেলার সংখ্যা ৩৬। সরকারে মন্ত্রী মাত্র ২০। নামেই ১৮ জন মন্ত্রী আদপে দুজনের সরকার চলছে। থমকে গিয়েছে সরকারি কাজকর্ম।

উদ্ধব সরকারের পতন ঘটিয়ে, মহারাষ্ট্র ‘দখল’ করেছিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেন যথাক্রমে বিদ্রোহী শিবসেনা নেতা একনাথ শিন্দে (Eknath Shinde) এবং বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ (Devendra Fadnavis)। কিন্তু মন্ত্রিসভা গড়তে গিয়ে ল্যাজেগোবরে উভয় শিবির। দিল্লিতে ডেইলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করেন দুজনে। বিক্ষুব্ধ শিবসেনা ও বিজেপির মধ্যে কাজিয়া শুরু হয়, কারা হবেন মন্ত্রী এবং কারা বাদ পড়বেন, কার পাল্লায় কটা দপ্তর থাকবে। নিরুপায় হয়ে ৯ আগস্ট মাত্র ৯ জন বিজেপি এবং ৯ জন বিদ্রোহী শিবসেনা (shiv sena) বিধায়ককে মন্ত্রী করা হয়। যদিও আজ অবধি তাদের দপ্তর দেওয়া হয়নি। ফলে স্পষ্ট অনেক গভীর পর্যন্ত সমস্যার শিকড় পৌঁছেছে। সমস্যা এতই গুরুতর যে বিজেপির কাছে মহারাষ্ট্র এখন গলায় আটকে থাকা কাঁটা। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্র বিজেপির সভাপতি বলেছিলেন, বাধ্য হয়ে তাদের শিন্দেকে মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিতে হয়েছে। ফলে ফাটল যে গুরুতর তা আর বলার অপেক্ষা রাখছে না।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen