উত্তরবঙ্গের চা বাগান নিয়ে বড় সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী, কী সেই সিদ্ধান্ত?
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তরের ছ’টি ধুঁকতে থাকা চা বাগান লিজে দেওয়া হচ্ছে। এই বাগানগুলির কর্মীরা বেতন পাচ্ছিলেন না। সেই বাগানগুলি তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছে।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার নবান্ন সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রী জানান, আগামী তিন বছরের জন্য ৬টি ধুঁকতে থাকা চা বাগান লিজে দেওয়া হচ্ছে। যাতে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের ঠিকমতো মাইনে দিতে পারে। একইসঙ্গে চা পর্যটনে জোয়ার আনতে এবং কর্মসংস্থান গড়ে তোলার জন্য জোরাল পদক্ষেপ করেছেন মমতা।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তরের ছ’টি ধুঁকতে থাকা চা বাগান লিজে দেওয়া হচ্ছে। এই বাগানগুলির কর্মীরা বেতন পাচ্ছিলেন না। সেই বাগানগুলি তিন বছরের জন্য লিজ দেওয়া হচ্ছে। যাতে মালিকরা ভালোভাবে বেতন দিতে পারে। যদি তাঁরা সফলভাবে চালাতে পারেন, কর্মীদের বেতন দিতে পারে, ঠিকমতো প্রভিডেন্ট ফান্ড-গ্র্যাচুইটি দিতে পারে তাহলে বাগানগুলি ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হবে।
চা বাগানের জমি আইনে বদল ঘটানো হচ্ছে বলে প্রচার করছে কিছু রাজনৈতিক দল। যা নিয়ে মমতার পালটা অভিযোগ, “কিছু ভূতুড়ে দল এই মিথ্যে প্রচার করছে।” তিনি জানান, “চা বাগানের জমি আইনে কোনও বদল আনা হচ্ছে না। কোনও চা বাগানে যদি উদ্বৃত্ত জমি থাকে তবে সেই জমিতেই বাণিজ্যিক কাজকর্ম করার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। তবে একসঙ্গে ৩০ একর জমি কাউকে দেওয়া হচ্ছে না বলেও জানান মমতা।”
পাশাপাশি এদিন নবান্নের এই বৈঠক থেকে মহাকুম্ভ নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি যতদূর জানি, পূণ্যস্নান সংক্রান্তিতে হয়। যেমন গঙ্গাসাগর প্রতিবার হয়, মহাকুম্ভে ১২ বছর পর পর হয়। তা বলে ১৪৪ বছর অন্তর মহাকুম্ভ, আমি যতটুকিু শুনেছি, এটা ঠিক নয়!” মুখ্যমন্ত্রী এও বলেন, “আমার যদি ভ্রান্তি থাকে আপনারা সংশোধন করে দেবেন। আমি একটু অজ্ঞ আছি! যদি কেউ বিশিষ্ট মানুষ থাকেন, যারা জানেন, তাঁদের বলব, একটু গবেষণা করে জানাবেন, আসল সত্যটা কী। আসল তথ্যটা কী!”