বনাঞ্চলের অধিকার থেকে যাতে জনজাতি অংশের মানুষ বঞ্চিত না-হন, রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী
মুখ্যসচিবকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। অযোগ্যদের নাম যাতে তালিকায় না-থাকে, তা-ও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:৩১: এসসি বা এসটি না হয়েও অনেকেই ভুয়ো নথির সাহায্যে জমি দখল করছে। এরকমই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে রাজ্যে। সোমবার নবান্নে জনজাতি উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠক ছিল। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকেই এক মন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে অনুযোগ জানান, এসসি-এসটি তালিকায় অনেক অযোগ্যের নাম রয়ে যাচ্ছে। মন্ত্রীর কাছ থেকে বিষয়টি জানার পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা মুখ্যসচিবকে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। অযোগ্যদের নাম যাতে তালিকায় না-থাকে, তা-ও স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই সঙ্গে ওই বিষয়ে একটি রিপোর্টও চেয়েছেন মমতা। বনাঞ্চলের অধিকার থেকে যাতে জনজাতি অংশের মানুষ বঞ্চিত না-হন, তাঁদের জমি যাতে বেহাত না-হয়, সে ব্যাপারেও রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু জমি নয়, চাকরি ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সংরক্ষণের সুবিধাও নিচ্ছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে নবান্নে কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার নবান্নে ট্রাইবাল অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে সরব হন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। পরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সরাসরি অভিযোগ জানিয়ে তিনি বলেন, “অনেকে যাঁরা আদৌ ST নন, তারাও কাগজপত্র জোগাড় করে এই তালিকায় নাম তুলে নিচ্ছেন।”
উল্লেখ্য, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির নতুন তালিকা আদালতের জটিলতায় আটকে রয়েছে। সেই শুনানি সোমবার ফের পিছিয়ে গিয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যদিও সেই মামলার কারণে জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল, কলেজে ভর্তির তালিকা প্রকাশ যে ভাবে থমকে ছিল, তা আপাতত কেটেছে। সেই আবহেই জনজাতি উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে অযোগ্যদের নাম নিয়েও বার্তা দিলেন মমতা। এসসি-এসটিভুক্তদের শংসাপত্র পাওয়া নিয়েও সমস্যার কথাও আলোচিত হয়েছে নবান্নের বৈঠকে। সম্প্রতি ঝাড়গ্রামের একটি স্কুলের প্রশ্নপত্রে অলচিকি হরফ ছিল না। তা নিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়। সূত্রের খবর, সেই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই বলেন, সরকার স্বীকৃতি দেওয়ার পরেও কেন এই ধরনের অভিযোগ উঠবে!