কয়লা মাফিয়ারা বিজেপিতে: পাণ্ডবেশ্বরে অভিষেক
অভিষেক বলেন, নিজেদের বিশ্বের সর্ববৃহৎ দল দাবি করা বিজেপি সাত বছরে পাণ্ডবেশ্বরে একটা নেতা তৈরি করতে পারেনি।

কয়লা মাফিয়ারাই (Coal Mafia) বিজেপিতে (BJP) রয়েছে। খনি অঞ্চলে এসে অবৈধ কয়লা সাম্রাজ্য নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি নাকি কয়লা মাফিয়ামুক্ত পাণ্ডবেশ্বর, আসানসোল করবেন। আপনি এখানে যাঁকে প্রার্থী করেছেন, তাতেই মানুষ বুঝে গিয়েছে। সবচেয়ে বড় কয়লা মাফিয়া কোন দলে? মানুষ সব জানেন। এখানকার প্রার্থীকে পাশে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলছেন দুনীর্তিমুক্ত বাংলা গড়বেন। সবচেয়ে বড় তোলাবাজ, দুর্নীর্তিগ্রস্ত লোকগুলোকে দলে ঢুকিয়ে তাঁরা নাকি আসল পরিবর্তন করবেন। জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে নাকি কয়লা মাফিয়া রাজ শেষ হবে। এটা হতে পারে? নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে রং পাল্টানো মানুষগুলোকে আপনারা জবাব দেবেন না? বুধবার পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা কেন্দ্রের মাধাইপুরে তৃণমূল প্রার্থী নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সমর্থনে সভা করতে এসে আগাগোড়া আক্রমণাত্মক ছিলেন তৃণমূলের যুব নেতা।
প্রসঙ্গত, নরেন্দ্র মোদি থেকে অমিত শাহ দু’জনেই শিল্পাঞ্চলে সভা করতে এসে অবৈধ কায়লা পাচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। এক সময় যে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে এনিয়ে আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি, তাঁকে পাশে বসিয়েই বিজেপির দুই শীর্ষ নেতা তোপ দেগেছিলেন। এদিন পাণ্ডবেশ্বরের মাঠে তার জবাব দিলেন অভিষেক। তৃণমূল জেলা সভাপতি থাকা দলবদলু জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে বারবার আক্রমণ করেছেন তিনি। অভিষেক বলেন, নিজেদের বিশ্বের সর্ববৃহৎ দল দাবি করা বিজেপি সাত বছরে পাণ্ডবেশ্বরে একটা নেতা তৈরি করতে পারেনি। তাই তৃণমূলের আবর্জনাগুলোকে নিয়ে গিয়েছে। আমি তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলব না। কারণ দল তাঁকে বিশ্বাস করেনি। তাই তো অনেকের না পছন্দ হলেও গত জুলাই মাসে নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে ব্লক সভাপতি করা হয়। ওরা বুঝে গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস টিকিট দেবে না, তাই দল পাল্টেছে।
তিনি আরও বলেন, করোনা যখন বাড়ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন শেষ তিন দফা ভোট একদিনে করে দিন। তাতে এত সভা হবে না। সংক্রমণ বাড়বে না। মানুষের অকাল মৃত্যু হবে না। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন কমিশন কর্ণপাত করেনি। কারণ বিজেপি চায় না এক দফায় ভোট হোক। মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে যারা নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে রাস্তায় নেমেছে তাদের জবাব দেবেন না মায়েরা? এদের কাছে মানুষের জীবনে কোনও দাম নেই।
গুজরাতে এক হাত ছাড়া মৃতদেহ দাহ হচ্ছে। শ্মশানের সামনে মৃতদেহ নিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের লম্বা লাইন। কারণ এরা এক একটা রাজ্যে ১৫-২০ বছর ক্ষমতায় থাকলেও কিছু করেনি। গুজরাতের বাসিন্দা সাত কোটি। অথচ হাসপাতালে বেড ১৮ হাজার। আর বাংলার বাসিন্দা ১০ কোটি বেড এক লক্ষ ১০ হাজার। এটাই পার্থক্য। জানবেন বাংলার নির্বাচন হলেই ওরা ফের লকডাউন করবে। তখন কিন্তু তৃণমূলের ছেলেটাই আপনার পাশে দাঁড়াবে। সিপিএম, বিজেপি আসবে না। যেমন আগেও আসেনি।
শীলতকুচির ঘটনা নিয়ে সরব হয়ে অভিষেক বলেন, শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে বুকে গুলি করে মেরেছে। বাঙালিদের রক্তে বাংলা দখল করতে চায় বিজেপি। আপনারা মেনে নেবেন? আপনাদের ঠিক করতে হবে ওদের ভোট দিয়ে গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, দিল্লির বশ্যতা স্বীকার করে থাকবেন, নাকি বাংলার মেয়ের কাছে মাথা উঁচু করে সম্মানের সঙ্গে থাকবেন। এখানে ওরা কোনওদিন সরকার গড়লে একটা রাস্তার কাজ করতে দিলীপ ঘোষকে নরেন্দ্র মোদির অনুমতি নিতে হবে। দিল্লির রিমোট কন্ট্রোলে সরকার চলে! এই মুহূর্তে