২০২৬-এর বিধানসভাকে ‘পাখির চোখ’ করে তৎপর কমিশন, বছরের শুরুতেই দিল্লিতে হাইভোল্টেজ বৈঠক
Authored By:
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২২:০০: দোরগোড়ায় নতুন বছর। আর ২০২৬ সাল পশ্চিমবঙ্গবাসীর কাছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ, এই বছরেই রাজ্যে অনুষ্ঠিত হবে বহু প্রতীক্ষিত বিধানসভা নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে ‘পাখির চোখ’ করে বছরের শুরুতেই বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। আগামী মাসেই অর্থাৎ জানুয়ারির ৫ তারিখে নয়াদিল্লিতে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডাকল কমিশন।
কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচন সংক্রান্ত এই বিশেষ বৈঠকটি আগামী ৫ জানুয়ারি দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য তলব করা হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (CEO) মনোজ আগরওয়াল এবং রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার আনন্দ কুমারকে। এছাড়াও বৈঠকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা উপস্থিত থাকবেন। মনে করা হচ্ছে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যে কত পরিমাণ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে এবং রাজ্যের সামগ্রিক নিরাপত্তা পরিকাঠামো কেমন হবে, তা নিয়েই মূলত ব্লু-প্রিন্ট তৈরি হতে পারে এই বৈঠকে।
বর্তমানে রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চলছে জোরকদমে। গত ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত হয়েছে খসড়া ভোটার তালিকা। কমিশন জানিয়েছে, এই তালিকা সংক্রান্ত যাবতীয় অভিযোগ ও আপত্তি আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত জানানো যাবে। এরপর সেই সমস্ত দাবি ও আপত্তি খতিয়ে দেখে এবং প্রয়োজনে শুনানির মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের আগেই কমিশনের এই বৈঠক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন পরিচালনার লক্ষ্যে এর আগেই ২৫টি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য এজেন্সির সঙ্গে প্রস্তুতি বৈঠক সেরেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন বা সিইও দপ্তর। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিআইএসএফ-এর এয়ারপোর্ট ডিআইজি অজয় কুমার, বিএসএফ সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি ভূপেন্দ্র যাদব, পূর্ব রেলের আরপিএফ-এর আইজি রফিক আহমেদ আনসারি এবং রাজ্য পরিবহন দপ্তরের সচিব সৌমিত্র মোহন-সহ অন্যান্য আধিকারিকরা।
লোকসভা হোক বা বিধানসভা, ভোটের আগে বেআইনি লেনদেন, পাচার এবং কালো টাকার ব্যবহার রুখতে এই এজেন্সিগুলিকে সক্রিয় করে কমিশন। ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক প্রস্তুতি এবং নিরাপত্তার চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করতেই নতুন বছরের ৫ তারিখের এই বৈঠক বিশেষ ভূমিকা নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।