সংবিধান অবমাননাকরীদের নির্দেশে সংবিধান হত্যা দিবস আমরা পালন করব না, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
একটা চিঠি দিয়েছে উত্তরপ্রদেশের সচিব বাঙালির সংস্কৃতি বিভাগকে চিঠি দিয়েছে ২০ জুন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করবে সব রাজভবনে

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৬:৫৮: ৫০ বছর আগে কংগ্রেস সরকার দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল যে দিন, সেই ২৫ জুন তারিখটিকে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ হিসাবে পালন করবে কেন্দ্রের মোদী সরকার। এই নিয়ে কেন্দ্রের সংস্কৃতি মন্ত্রকের প্রধান সচিব রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে যে তাঁর আপত্তি রয়েছে, এদিন নবান্নে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, জরুরি অবস্থার ৫০ বছর তো গত বছর পেরিয়ে গেছে। তাহলে এবারে কেন সেই দিবস পালন করা হচ্ছে?
এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, “ওরা বলছে, সংবিধান হত্যা দিবস পালন করা হবে। কিন্তু এই সংবিধান হত্যা কথাটায় আমার আপত্তি আছে। যদিও গণতন্ত্রের স্তম্ভগুলোকে ওরা ইতিমধ্যেই প্রতিদিন ধ্বংস করছে। ফলে ওরা ওদের মতো পালন করুক, আমরা আমাদের মতো পালন করছি না। কারণ, আমাদের মতো করে পালন করতে হলে প্রতিদিন গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে হবে।”
নিজের দাবির স্বপক্ষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সেই ৮ নভেম্বর ২০১৬ নোটবন্দি থেকে পহেলগাম, প্রতিদিন দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করা হচ্ছে। পহেলগামের পর এখনও সর্বদল বৈঠক ডাকা হল না। আমরা দলের তরফে পাঁচটা প্রশ্ন রেখেছিলাম। সে সবের কোনও উত্তর নেই। পার্লামেন্ট অ্যাটাক থেকে পহেলগাম- সন্ত্রাসবাদ বিরোধী দিবস কি পালন করা হয়েছে? আসলে বিজেপি যা বলছে কেন্দ্র তাই করছে। তাই এটা আমরা মানব না।”
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “নোটবন্দির সময়েই গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। কত মানুষকে কত দিন ধরে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে নোট বদলানোর জন্য। ১৪০ জন মানুষ মারা গিয়েছেন! সেই দিনটাকে কেন ‘ব্ল্যাক মানি ডে’ বলে পালন করা হবে না?’’
এরপরই সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “দেশের প্রাইম মিনিস্টার কে? মোদী না শাহ? মোদী তো বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বকলমে তো দেশটা ওকে ছেড়ে দিয়েছেন। উনি কোনও নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না, ওরা আবার গনতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে চাইছে। কিনা ওই দিন নাকি নেতাজির ছবি দেখাবে। ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল, নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য উদঘাটন করবেন, আজ অব্দি করেছেন? করেননি, আসলে এই সরকারটা জুমলা সরকার।”
কটাক্ষের সুরে মমতা এও বলেন,’প্ল্যানিং কমিশন তুলে নীতি আয়োগ করেছেন, যার না আছে কোনও নীতি না কোনও প্ল্যানিং!’