রাষ্ট্রপতির সম্মতিতে রবিবার আইনে পরিণত বিতর্কিত G RAM G Bill

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ২০:১৮: আইনে পরিণত হল বিতর্কিত ‘জিরামজি’ বিল (G RAM G Bill)। আজ, রবিবার এই বিতর্কিত বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Droupadi Murmu)। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বিলটির আইনে পরিণত হওয়ার কথা জানিয়েছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শেষ লগ্নে বিলটি পেশ হয়। তুঙ্গে ওঠে বিতর্ক। বিরোধীদের আপত্তি, বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে মাঝরাত অবধি সংসদ চালিয়ে উভয় কক্ষে পাশ হয়েছে বিলটি। আজ, রাষ্ট্রপতির সম্মতি পেয়ে তা আইনেও পরিণত হল।
গ্রামীণ কর্মসংস্থান সুনিশ্চিত করতে রয়েছে ‘মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি অ্যাক্ট’ বা ‘মনরেগা’। এই আইনের আওতায় একশো দিনের কাজ প্রকল্প চলে। এই আইনে এবার বদল আনল কেন্দ্র। নতুন আইনের নামকরণ নিয়ে প্রথম থেকেই আপত্তি ছিল বিরোধীরা। অভিযোগ, নতুন আইন থেকে মহাত্মা গান্ধীর নাম কৌশলে মুছে ফেলছে বিজেপি। নতুন প্রকল্পের আইনের নাম দেওয়া হয়েছে, বিকশিত ভারত-গ্যারান্টি ফর রোজগার অ্যান্ড আজীবিকা মিশন (গ্রামীণ)।
নতুন আইনে প্রতি অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজকে বৃদ্ধি করে ১২৫ দিন করার কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্রের অংশীদারিত্ব কমানো হয়েছে। এতদিন কেন্দ্র দিত নব্বই শতাংশ টাকা। রাজ্য দিত দশ শতাংশ। এবার থেকে কেন্দ্র দেবে ষাট শতাংশ রাজ্য চল্লিশ শতাংশ।
প্রকল্পের নামবদল ঘিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ বিভিন্ন বিরোধী দলের নেতারা কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছেন। মমতা সম্প্রতি এক সভামঞ্চে বলেন, “মনরেগা থেকেই গান্ধীর নাম বাদ দেওয়া হল! লজ্জা হচ্ছে, জাতির জনককে ভুলে যাচ্ছি আমরা।” বাংলার কর্মশ্রী প্রকল্পের নাম তিনি জাতির জনকের নামে নামকরণ করেছেন। কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীর মতে, ‘মনরেগা’র উপর বুলডোজার চালিয়েছে মোদী সরকার। নয়া আইনকে কেন্দ্রের ‘কালো আইন’ বলে উল্লেখ করেছেন কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন।
বুধবার মধ্যরাত পর্যন্ত ‘জিরামজি’ বিল নিয়ে আলোচনা চলে লোকসভায়। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংসদের নিম্নকক্ষে বিল পাশ হয়ে যায়। রাজ্যসভায় বিলটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয় বৃহস্পতিবার। সংসদের উচ্চকক্ষেও মধ্যরাত পর্যন্ত চলে আলোচনা। বিলটি সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানোর দাবি তুলেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তা পাঠানো হয়নি। রাত ১২টা ১৫ পর্যন্ত আলোচনা চলার পরে ধ্বনি ভোটে বিলটি পাশ হয়ে যায় রাজ্যসভায়। রাতভর ধরনা চালায় তৃণমূল। তাতে যোগ দেন বিরোধী সাংসদেরাও। আজ বিলটি আইনে পরিণত হল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনে।