মহারাষ্ট্রে ‘ধর্ষিতা’ চিকিৎসকের আত্মহত্যা কাণ্ড: গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ৮:১৬: মহারাষ্ট্রে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং তাঁকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় মূল অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিক গোপাল বদন অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক থাকা এই এএসআই (ASI) শনিবার সন্ধ্যায় ফলটন গ্রামীণ থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এর আগেই তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। শনিবারই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন অপর এক অভিযুক্ত।
গত বৃহস্পতিবার রাতে হোটেলের ঘরে নিজেকে শেষ করার আগে ওই দু’জনের নাম হাতের তালুতে লিখে গিয়েছিলেন সাতারার সরকারি হাসপাতালের মহিলা মেডিক্যাল অফিসার। চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরে তাঁর হাতের তালুতে লেখা ছিল ‘আত্মহত্যার কারণ’ এবং দুই অভিযুক্তের নাম। তিনি লিখে যান, শেষ পাঁচ মাসে মহারাষ্ট্র পুলিশের এক সাব-ইন্সপেক্টরের (এসআই) তাঁকে চার বার ধর্ষণ করেছেন। তিনি সাতারার যে বাড়িতে ভাড়া থাকতেন, সেই বাড়িমালিকের ইঞ্জিনিয়ারপুত্র তাঁকে মানসিক নির্যাতন করতেন। দ্বিতীয় জনকে শনিবারই পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। কিন্তু ধর্ষণে অভিযুক্ত এবং বরখাস্ত হওয়া এসআই অধরা ছিলেন।
এই ঘটনায় দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তরুণীর পরিবারের লোকজন। পরিবারের দাবি, হাসপাতালে অনৈতিক কাজ করতে জোর করা হত চিকিৎসককে। প্রভাব খাটিয়েছিলেন এক সাংসদও। হুমকি আসত সেখান থেকেও। তাঁর বাবা দোষীদের ফাঁসি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এই মর্মান্তিক ঘটনা প্রসঙ্গে শনিবার মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেছেন, “এই ঘটনায় কাউকেই ছাড়া হবে না। তদন্তের পর অভিযুক্তদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।”