করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সাত রেল আধিকারিককে সাসপেন্ড
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে ভুল লাইনে ঢুকে পড়ে আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় সাত রেল আধিকারিককে সাসপেন্ড করল ভারতীয় রেল। এর আগে তদন্তে নেমে সিবিআই গ্রেপ্তার করে তিন রেল আধিকারিককে- সেকশন ইঞ্জিনিয়ার (সিগন্যাল), অরুণ কুমার মোহন্ত, সেকশন ইঞ্জিনিয়ার মহম্মদ আমীর খান ও টেকনিশিয়ান পাপ্পু কুমার। তাদেরকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে খবর।
প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, সিগন্যালিং কন্ট্রোল রুমের ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে ভুল লাইনে ঢুকে পড়ে আপ ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই সেন্ট্রাল করমণ্ডল এক্সপ্রেস। এই মারাত্মক ভুলের কারণেই এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। এই লুপ লাইনে করমণ্ডল এক্সপ্রেসটা না ঢুকলেই দুর্ঘটনা এড়ানো যেত।
গত ২ জুন বাহানগা বাজার স্টেশন পেরিয়ে মেন লাইনের পরিবর্তে লুপ লাইনে ঢুকে গিয়েছিল আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস (গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটারের বেশি ছিল)। যে লুপ লাইনে আগে থেকেই দাঁড়িয়েছিল একটি মালগাড়ি। ওই মালগাড়িতে ধাক্কা মেরে লাইনচ্যুত হয়ে যায় করমণ্ডলের একাধিক কোচ। ছিটকে পড়ে অন্য লাইনে। সেইসময় উলটো দিকের লাইন দিয়ে আসছিল ডাউন SMVT বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস। করমণ্ডলের কোচে ধাক্কা মেরে হাওড়াগামী ট্রেনের কয়েকটি কোচও লাইনচ্যুত হয়ে যায়। সেই ঘটনায় সার্বিকভাবে প্রায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছেন ১,০০০ জনের বেশি।