প্রতি বছরের অতিথি হতে পারে করোনা
করোনা ভাইরাস হয়তো প্রতি বছর ফিরে আসবে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিনের প্রথম সারির বিজ্ঞানীরা। অনেকটা ফ্লুর মতো ঘুরে ঘুরে আসবে করোনা, তাঁদের পূর্বাভাস। চিনের অ্যাকাডেমি অফ মেডিকেল সায়েন্সসের ইনস্টিটিউট অফ প্যাথোজেন বায়োলজির ডিরেক্টর জিন কি জানান, করোনা ভাইরাস মানুষের শরীরে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থেকে যেতে পারে। ফলে সেটা মরশুমি ফ্লুর মতো হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
করোনা ভাইরাস হয়তো প্রতি বছর ফিরে আসবে, এমনটাই আশঙ্কা করছেন চিনের প্রথম সারির বিজ্ঞানীরা। অনেকটা ফ্লুর মতো ঘুরে ঘুরে আসবে করোনা, তাঁদের পূর্বাভাস। চিনের অ্যাকাডেমি অফ মেডিকেল সায়েন্সসের ইনস্টিটিউট অফ প্যাথোজেন বায়োলজির ডিরেক্টর জিন কি জানান, করোনা ভাইরাস মানুষের শরীরে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত থেকে যেতে পারে। ফলে সেটা মরশুমি ফ্লুর মতো হয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
করোনা সহজে যাবে না, মনে করেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরাও। যাঁদের শরীরে করোনা ধরা পড়বে না, তাঁদের থেকে এই ভাইরাস ছড়াবে বলে মনে করেন গান্ধিনগরের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথের ডিরেক্টর দীপক মাওয়ালঙ্কর। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চের প্রাক্তন প্রধান তথা সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ ললিত কান্তের কথায়, করোনা ভাইরাসের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য এর উচ্চ সংক্রামকতা। যাঁদের মধ্যে প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, এই ভাইরাস তাঁদের বারেবারে সংক্রামিত করবে।

তবে ভাইরাসের যেহেতু খুব দ্রুত রূপান্তর ঘটে, তাই ভবিষ্যতে সেটা কী ধরনের আচরণ করবে বা ভাইরাসের বিবর্তনের প্রভাব কতটা ক্ষতি করতে পারবে মানুষের, তা আগে থেকে বলা শক্ত। তাঁর মতে, করোনায় আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁর শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়ে যায়। তবে কতদিন এই ক্ষমতা বজায় থাকবে সেটা জানা যাচ্ছে না। তাই ভাইরাসের বারেবারে ফিরে আসার ব্যাপারটা আটকাতে গেলে কার্যকর টিকার কোনও বিকল্প নেই।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিড-১৯-কে ধরলে মাত্র ৭ রকমের করোনা ভাইরাস মানুষের দেহে সংক্রামিত হতে পারে। এই সংক্রমণের বেশিরভাগটা ঘটে ডিসেম্বর ও এপ্রিল-মে মাসের মধ্যে। মাত্র ২.৫ শতাংশ সংক্রমণ হয় জুন থেকে সেপ্টেম্বর মাসে। আর সংক্রমণের হার তুঙ্গে থাকে জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে। করোনা সংক্রমণের ওপর ঋতু পরিবর্তন কতটা প্রভাব ফেলে সেটা এখনও স্পষ্ট নয়।