Corona আক্রান্তের সংখ্যা হাজার ছাড়ালো দেশে, বাংলায় আক্রান্ত ১২

নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি, ১১:০০: দেশজুড়ে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা আতঙ্ক। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুসারে, ২৬ মে সকাল আটটা পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্ত সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ১০। সংক্রমণের হার সবথেকে বেশি কেরলে, সেখানে ৪৩০ জন করোনা পজিটিভ। মহারাষ্ট্রে ২০৯, দিল্লিতে ১০৪, গুজরাতে ৮৩ এবং তামিলনাড়ুতে ৬৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। কর্নাটকে ৪৭, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে যথাক্রমে ১৫ ও ১৩ জনের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে।
করোনায় এখনও পর্যন্ত দেশে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। মহারাষ্ট্রের থানেতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক ২১ বছর বয়সী যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে ৮৪ বছরের এক বৃদ্ধেরও করোনায় মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কো-মরবিডিটিও ছিল। বাংলায় ১২ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। কোভিড আক্রান্ত হয়ে এখন ২ জন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ৯ মাসের এক শিশুর চিকিৎসা চলছে। আইসোলেশনে রয়েছেন ৫৫ বছরের এক মহিলা।
করোনার নতুন উপপ্রজাতি NB.1.8.1-এর কারণেই সংক্রমণের হার বাড়ছে। জানা গিয়েছে, করোনার এই নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট চীনে প্রথম শনাক্ত হয়েছে। সিঙ্গাপুর, হংকং-সহ এশিয়ার দেশগুলির পাশাপাশি, আমেরিকাতেও নয়া ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিত হয়েছে। পরীক্ষায় উঠে এসেছে, দেশে সংক্রমণের নেপথ্যে মূলত করোনার দুটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট NB.1.8.1 এবং LF.7। WHO জানাচ্ছে মিউটেশন হয়ে NB.1.8.1-এর স্পাইক প্রোটিনে থাকা A435S, V445H, এবং T478, সংক্রমণে বাড়িয়ে তুলেছে। পাশাপাশি ভাইরাসকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এড়াতেও সাহায্য করছে। তবে নয়া সাব-ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ হার বেশি হলেও, তা মৃত্যু হার বাড়াবে না বলেই মত চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের একাংশের। সংক্রমণের হার বাড়ার নেপথ্যে রয়েছে করোনার নতুন স্ট্রেন তা কার্যত নিশ্চিত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই নয়া স্ট্রেনকে ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং (VAM) বলে উল্লেখ করে পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সূত্র অনুযায়ী, ভারতে বর্তমানে করেনা পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে।