করোনার জেরে কাঁটছাঁট দুর্গাপুজোর বাজেটে
করোনার কারণে দুর্গাপুজোর বাজেটে বড়সড় কোপ পড়তে চলেছে। আয়োজকদের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে, করোনার প্রকোপে যে সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রীতিমতো বেসামাল। এমত অবস্থায় কর্পোরেট বিজ্ঞাপন এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে এবং পরবর্তীতে তা আরও কমবে।
করোনার কারণে দুর্গাপুজোর বাজেটে বড়সড় কোপ পড়তে চলেছে। আয়োজকদের তরফে পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে যে, করোনার প্রকোপে যে সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তাতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থা রীতিমতো বেসামাল। এমত অবস্থায় কর্পোরেট বিজ্ঞাপন এক ধাক্কায় অনেকটাই কমে গিয়েছে এবং পরবর্তীতে তা আরও কমবে।
অক্টোবরেই দুর্গাপুজো। অর্থাৎ হাতে আর মাত্র ছয় মাস। শুধু ছোট বাজাটের পুজোগুলিই নয়। বিগ বাজেটের পুজোগুলিও প্রায় তাঁদের গতবারের বাজেটের প্রায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বাজেট কমাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। মূলত পুজোর সাজসজ্জায় যে চাকচিক্য দেখা যায়, সেই খরচাতেই কাঁচি চালানো হবে বলে আরও খবর। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব– শহরে দুর্গাপুজোর আয়োজকদের যে সংগঠন রয়েছে তাদের তরফেই এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ফোরামের প্রেসিডেন্ট কাজল সরকার সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেছেন, ‘গত বছরেই অর্থনৈতিক শ্লথতার জন্য আমাদের পুজোর বাজেটে বেশ কিছুটা কাটছাঁট করতে হয়েছিল। এই বছর অবস্থা আরও খারাপ হতে চলেছে। অর্থনীতির দুর্দিন তো ছিলই। আর এই মহামারী COVID-19 এর জন্য পুজোর বাজেটে আরও বড়সড় কোপ পড়তে চলেছে।’
গোটা পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩০ হাজারেরও বেশি দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। আর পুরো কলকাতাতেই সেই সংখ্যাটা প্রায় ৩ হাজারের কাছাকাছি। ব্যক্তিগত অনুদান, চাঁদা মিলিয়ে বাজেটের ২৫ শতাংশ টাকা উঠলে বাকি ৭৫ শতাংশ টাকা আসে কর্পোরেট ফান্ডিং এবং বিভিন্ন বিজ্ঞাপন থেকেই।