দক্ষিণ কলকাতায় শুরু অক্সিমিটার ক্যাম্প আর উত্তর কলকাতায় র‍্যাপিড টেস্ট

বেগতিক কিছু দেখলে কোভিড প্রোটোকল মেনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো।

August 1, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

করোনা মুক্ত হওয়ার শপথ এবার অক্সিমিটারের মধ্য দিয়ে। স্টেপলারের মতন দেখতে ছোট্ট যন্ত্রে আঙুল ঢুকিয়ে কয়েক মুহূর্তের অপেক্ষা। স্বাস্থ্য কর্মী সংখা উচ্চারণ ৯৬ বা তার বেশি হতেই যুদ্ধ জয়ের ছাপ চোখেমুখে। দক্ষিণ কলকাতার ১১৭ নং ওয়ার্ডে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য কর্মীদের এমন চলমান শিবিরে সাড়াও বেশ চমৎকার। শিবির চলাকালীন উচ্ছ্বসিত স্থানীয় কাউন্সিলর অমিত সিং  তাই বলেই ফেললেন, ওয়ার্ডের প্রত্যেক বাড়িতে পৌঁছবো আমরা। সবার রক্তে অক্সিজেন মাত্রা জানিয়ে আসবো। বেগতিক কিছু দেখলে কোভিড প্রোটোকল মেনে চিকিৎসার ব্যবস্থা করবো।

নিউ আলিপুরের মালাকার পাড়ার উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতন। সরু বাঁকের গলিতে পুরকর্মীর হ্যান্ড মাইকের আওয়াজ পৌঁছতেই পিলপিল করে মানুষ হাজির স্বাস্থ্য কর্মীদের সামনে। চলমান স্বাস্থ্য শিবিরে অক্সিমিটার নতুন সংযোজন হলেও বাকি আয়োজনও বেশ অভিনব। প্রথমে স্প্রে মেশিনে দুয়ার ও গলি বা রাস্তার চারপাশ স্যানিটাইজেশন। পরে হ্যান্ড স্যানিটাইজার স্প্রে বাসিন্দাদের হাতে হাতে। এরপর থার্মাল স্ক্রিনিং করে তাপমাত্রা মাপা এবং এই তিনটি ধাপের পর অক্সিমিটারে আঙুল প্রবেশ।বাড়ি পিছু প্রত্যেক আবাসিকদের নাম, বয়স, তাপমাত্রা, রক্তে অক্সিজেন মাত্রা, পালস রেট লিখে স্বাস্থ্য কর্মীরা বানাচ্ছেন ডেটাব্যাঙ্ক। যে ডেটা সরাসরি কলকাতা পুরসভার হেড কোয়ার্টার হয়ে পৌঁছে যাবে স্বাস্থ্য ভবনে। অন্যদিকে উত্তর কলকাতায় ৩ নং বরোর অধীন ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে শুক্রবার হয়ে গেল র‍্যাপিড টেস্ট। ৩ নম্বর বরো কো-অর্ডিনেটর অনিন্দ্য কিশোর রাউত জানাচ্ছেন, “কনটেনমেন্ট জোন ধরে অনেকটা ভাল ফল পেয়েছি বোরো-তে। তেলেঙ্গাবাগান অঞ্চলে অভাবিত ফল। র‍্যাপিড টেস্ট আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি।  করোনা জব্দে আমাদের রোডম্যাপ কাজে আসছে।”

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen