বাংলার ঘর থেকে সস্তায় করোনা পরীক্ষার কিট
বাংলার গবেষণাগারে, বঙ্গসন্তানের সংস্থায়, বাঙালি বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা কিটকে স্বীকৃতি দিল আইসিএমআর। বাংলা তো বটেই, পূর্ব ভারত থেকে এই প্রথম কোনও আরটি-পিসিআর কিট মান্যতা পেল। প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি, এটি দেশের সর্বপ্রথম ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কিট। এবং সস্তাও। সোয়াব নমুনায় করোনা আছে কি না, জানতে খরচ পড়বে ৫০০ টাকা! সময় লাগবে মাত্র দু’ঘণ্টা।
বাংলার গবেষণাগারে, বঙ্গসন্তানের সংস্থায়, বাঙালি বিজ্ঞানীদের তৈরি করোনা কিটকে স্বীকৃতি দিল আইসিএমআর। বাংলা তো বটেই, পূর্ব ভারত থেকে এই প্রথম কোনও আরটি-পিসিআর কিট মান্যতা পেল। প্রস্তুতকারক সংস্থার দাবি, এটি দেশের সর্বপ্রথম ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ কিট। এবং সস্তাও। সোয়াব নমুনায় করোনা আছে কি না, জানতে খরচ পড়বে ৫০০ টাকা! সময় লাগবে মাত্র দু’ঘণ্টা।
আইসিএমআরের বিবৃতি বলছে, এখনও পর্যন্ত দেশি-বিদেশি ৪৫টি কিটকে তারা স্বীকৃতি দিয়েছে। এর মধ্যে সন্তোষজনক ফল দিচ্ছে ২১টি। তারই একটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাঁকড়াহাটের জিসিসি বায়োটেকের তৈরি কিট। ভ্যালিডেশনে পরামর্শ জুগিয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগও।

কিটটির পোশাকি নাম ‘ডায়াগশিওর এনসিওভি-১৯ ডিটেকশন অ্যাসে’। এর মধ্যে রয়েছে ওয়ান স্টেপ কিউআরটি পিসিআর মাস্টার মিক্স, প্রাইমার, প্রোব, আরএনএ টেমপ্লেট (কন্ট্রোল)। প্রতিটি উপাদানই সংস্থার নিজের তৈরি, দেশীয় কাঁচামাল ব্যবহার করেই।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা বারবার করে আরটি-পিসিআর পরীক্ষার উপরই জোর দিয়েছে। সেই নীতি অনুসরণ করেই কিটের চাহিদা মেটানোর দিকে খেয়াল রাখছে আইসিএমআর। পুরোনো কিটের পাশাপাশি নতুন কিটকেও মান্যতা দেওয়া হচ্ছে। যেমন দিনকয়েক আগে দিল্লি আইআইটির তৈরি প্রোব-হীন আরটি-পিসিআর কিট শংসাপত্র পেয়েছে। আপাতত সর্বশেষ সংযোজন জিসিসি বায়োটেকের কিট।