জলপাইগুড়িতে অন্নদাত্রী নারীশক্তি

তিনটে গ্রামের পাঁচশোর বেশি মানুষের খাবার জোগান দিচ্ছেন চার মহিলা। করোনা-আতঙ্কে লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছেন দিনমজুর, ঠিকে কাজের লোক এবং দরিদ্র ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা। পেটের ভাত জোগাড় করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে তাঁদের। এঁদের কথা ভেবেই এগিয়ে এসেছে নারী শক্তি সংগঠন। চার জন মহিলা পরিচালিত এই সংগঠন রোজ খাবার জোগাচ্ছে পরিবারগুলিকে।

April 9, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

তিনটে গ্রামের পাঁচশোর বেশি মানুষের খাবার জোগান দিচ্ছেন চার মহিলা। করোনা-আতঙ্কে লকডাউনের জেরে সমস্যায় পড়েছেন দিনমজুর, ঠিকে কাজের লোক এবং দরিদ্র ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা। পেটের ভাত জোগাড় করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে তাঁদের। এঁদের কথা ভেবেই এগিয়ে এসেছে নারী শক্তি সংগঠন। চার জন মহিলা পরিচালিত এই সংগঠন রোজ খাবার জোগাচ্ছে পরিবারগুলিকে।

চার জন মহিলা পরিচালিত এই সংগঠন রোজ খাবার জোগাচ্ছে পরিবারগুলিকে। চিত্র সংগৃহীত

সুমিত্রা সাহা, রঞ্জু দে, বিভা সাহা এবং রত্না রায়। সংসার সামলেও সামাজিক দায়বদ্ধতাকে ভোলেননি এই চার নারী। লোক মারফত জানতে পেরেছিলেন ধূপগুড়ি, ময়নাগুড়ি এবং নাগরাকাটা ব্লকের মাঝামাঝি পূর্ব ডোবাবাড়ি, চামটিমুখী ও ফটকটারি গ্রামের মানুষ চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। তাই চাঁদা তুলে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন তাঁরা। নিজেরাই বাড়িতে ভাত-সব্জি রান্না করে টোটোতে চাপিয়ে গ্রামে গ্রামে ঘুরে খাবার বিলি করছেন তাঁরা। টোটো চালিয়ে গ্রামে গ্রামে তাঁদের পৌঁছে দিচ্ছে পাড়ার ছেলেরা।

দুপুরবেলা গ্রামে টোটো ঢুকতে দেখলেই হাতে থালা-বাটি-গ্লাস নিয়ে ছুটতে ছুটতে সবার প্রথমে আসে খুদের দল। তার পর বৃদ্ধা-বৃদ্ধা এবং বাকিরা এসে লাইনে দাঁড়ান। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেকের হাত সাবান দিয়ে ধুইয়ে তার পর তাঁদের হাতে খাবার তুলে দেওয়া হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen