১৫ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য দূরপাল্লার ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে রেল

১৪ এপ্রিলের পর এক ধাক্কায় উঠছে না দেশজোড়া লকডাউন। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক থেকে এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট। তবে পরিস্থিতি বুঝে লকডাউন কোনও কোনও ক্ষেত্রে আংশিক প্রত্যাহার হবে কি না, তার ভাবনাচিন্তাও চলছে। সেই ভাবনা থেকেই, হঠাৎ-লকডাউনে দূরে আটকে পড়াদের জন্য ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে ভারতীয় রেল। পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলও রয়েছে এই তালিকায়। সম্ভাব্য পরিষেবার জন্য রেলের নানা বিভাগের কর্মীদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।

April 10, 2020 | 2 min read
Published by: Drishti Bhongi

১৪ এপ্রিলের পর এক ধাক্কায় উঠছে না দেশজোড়া লকডাউন। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর ডাকা সর্বদলীয় বৈঠক থেকে এমন ইঙ্গিত স্পষ্ট। তবে পরিস্থিতি বুঝে লকডাউন কোনও কোনও ক্ষেত্রে আংশিক প্রত্যাহার হবে কি না, তার ভাবনাচিন্তাও চলছে। সেই ভাবনা থেকেই, হঠাৎ-লকডাউনে দূরে আটকে পড়াদের জন্য ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে ভারতীয় রেল। পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলও রয়েছে এই তালিকায়। সম্ভাব্য পরিষেবার জন্য রেলের নানা বিভাগের কর্মীদের তৈরি থাকতে বলা হয়েছে।

তবে এই প্রস্তুতি শুধুই দূরপাল্লার ট্রেনের জন্য। পূর্ব রেল সূত্রে খবর, হাওড়া-শিয়ালদহ-সহ বিভিন্ন শাখায় সামান্য কয়েকটি লোকাল ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হলেও, তা দরকার মতো শুধুমাত্র রেলকর্মী এবং বিশেষ অনুমতিপ্রাপ্তদের জন্য।

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলের অনেক ট্রেনের কোচকেই আইসোলেশন কোচে পরিণত করা হয়েছে। সে জন্য সম্ভাব্য পরিষেবার ক্ষেত্রে প্রথম দিকে বেশ কিছু ট্রেন বাতিলের তালিকায় রাখা হয়েছে। যেমন ১৫ এপ্রিল বুধবার স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে হাওড়া থেকে পূর্ব রেলের ৩১টি মেল, এক্সপ্রেস, ইন্টারসিটি ট্রেন চলার কথা। বর্তমান পরিস্থিতিতে, ওই দিনের সম্ভাব্য তালিকায় ২১টি ট্রেন রেখে, বাকি ১০টি বাতিলের তালিকায় ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। ১৫ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এমন তালিকা তৈরি করে রেখেছে পূর্ব রেল।

গত ২২ মার্চ থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সমস্ত যাত্রিবাহী ট্রেন বন্ধ। ২১ মার্চ কেন্দ্র এই নির্দেশ দেওয়ার পরই, এই দিনগুলির জন্য টিকিট বুকিং বন্ধ হয়ে যায়। তবে ১৪ এপ্রিলের পরের মেল, এক্সপ্রেস, ইন্টারসিটি ট্রেনগুলির টিকিট এখন পাওয়া যাচ্ছে অন-লাইনে।

সমস্ত সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে রেল প্রস্তুত হয়ে থাকলেও, বাস্তব পরিস্থিতি তা কতটা অনুমোদন করবে তা নিয়ে ঘোর সন্দেহ রয়েছে রেলের শীর্ষকর্তাদের মধ্যেই। এক দিকে যেমন হঠাৎ-লকডাউনে দূরে আটকে পড়া মানুষদের সমস্যাটা রয়েছে, তার থেকে অনেক বড় আকারে রয়েছে করোনা সংক্রমণ ছড়াতে না দেওয়ার বিষয়টি। দেশে করোনা সংক্রমণ লাগামছাড়া না হলেও, এর বৃদ্ধির সংখ্যাটা নগন্য নয়। এ অবস্থায় আন্তঃরাজ্য যাতায়াত শুরু হয়ে গেলে নতুন করে বিপদ ঘটতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen