সামাজিক বয়কটের শিকার হাসপাতালে কর্মরত ১২৭ কর্মীর পরিবার

অসুস্থতা নিয়ে এক রোগী ভর্তি হয়েছিল এক বেসরকারি হাসপাতালে। পরে তার বাড়ির লোক তাকে ডিসচার্জ করে ওড়িশা নিয়ে গেলে করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কার্যত সেই কারনেই সামাজিক বয়কটের মুখে পড়তে হয়েছে স্পন্দন নামের বেসরকারি হাসপাতালের ১২৭ জন স্টাফকে। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই অভিযোগ করেন হাসপাতালের সুপার পার্থ মন্ডল।

April 15, 2020 | < 1 min read
Published by: Drishti Bhongi

অসুস্থতা নিয়ে এক রোগী ভর্তি হয়েছিল এক বেসরকারি হাসপাতালে। পরে তার বাড়ির লোক তাকে ডিসচার্জ করে ওড়িশা নিয়ে গেলে করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।  কার্যত সেই কারনেই সামাজিক বয়কটের মুখে পড়তে হয়েছে স্পন্দন নামের বেসরকারি হাসপাতালের ১২৭ জন স্টাফকে। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনই অভিযোগ করেন হাসপাতালের সুপার পার্থ মন্ডল।

তিনি জানান, ২ মার্চ দাঁতনের সাউড়ি গ্রাম থেকে একজন রোগী চিকিৎসার জন্যে হাসপাতালে ভর্তি হয়। ৭ই মার্চ তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন অবধি কোন উপসর্গ ছিল না। ৯ই মার্চ জানা যায় তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। ততক্ষনে এলাকায় প্রচার হয়ে যায় এই খবর। স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশে ঐ রোগীর সংস্পর্শে যাওয়া সব ডাক্তার, নার্সদের টেস্ট করা হয় এবং হোম কোয়ারান্টিনে থাকতে বলা হয়। এরপরেই সমস্যা শুরু হয়। কর্মীরা নিজের বাড়ি গেলে প্রতিবেশিরা ঝামেলা করতে শুরু করে। কর্মীরা বাড়ির মধ্যেই ১৪ দিন থাকতে চাইলেও তাদের পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা হয়।

সামাজিক বয়কটের শিকার হাসপাতালে কর্মরত ১২৭ কর্মীর পরিবার ।সংগৃহীত চিত্র

ফলে অনেকেই বাড়ি ছেড়ে হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে। এক কর্মী জানান যে তিনি এই হাসপাতালে কাজ করেন বলে কেউ দুধ দিতে চাইছে না। কলে জল নেওয়া, বাজার করা সব বন্ধ হয়েছে এলাকাবাসীর চাপে।

হাসপাতালের ডিরেক্টর জানান, এখন অব্ধি ১৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সবার রিপোর্ট নেগেটিভ। স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন এই অভিযোগ সত্যি হলে তা খুবই অমানবিক। খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা পুলিশ সুপার বলেন, অভিযোগ প্রমাণ হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

ভিডিও

আরও পড়ুন

Decorative Ring
Maa Ashchen