বাংলায় নিম্নমুখী করোনা সংক্রমণ, বাড়ছে সুস্থতার হার
মঙ্গলবার রাজ্যে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন দু’হাজারেরও বেশি মানুষ

ক্রমাগত কমতে থাকা করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি এবার বাড়ছে সুস্থতার হারও। মঙ্গলবার রাজ্যে আক্রান্তের তুলনায় সুস্থ হয়েছেন দু’হাজারেরও বেশি মানুষ। এদিন আক্রান্তের সংখ্যা সোমবারের থেকে আরও নেমে হয় ১৭,০০৫। এদিকে এদিন সুস্থ হয়েছেন ১৯,০৫৭ জন। ফলে আক্রান্ত আর সুস্থতার মধ্যে এখন ফারাক ২০৫২। তবে এই পরিসংখ্যানকে সামনে রেখে করোনা বিদায় নিচ্ছে বলে কোনও সিদ্ধান্ত এখনই না নেওয়াই উচিত বলে মনে করছে চিকিৎসকমহল। করোনা বিধি মেনে আরও বেশ কয়েক দিন চললে সংক্রমণের গ্রাফ উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে ফেলা সম্ভব বলে মত তাঁদের। তবে এদিনও রাজ্যে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন রায়গঞ্জের এক চিকিৎসক। ডাঃ অশোক ব্রহ্ম নামে ওই চিকিৎসক দু’মাস আগেই টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন। এছাড়াও করোনায় মৃত্যু হয়েছে রামপ্রসাদ উপাধ্যায়ের। তিনি কলকাতা পুলিসের স্পেশাল ব্রাঞ্চে ছিলেন।
এছাড়া, এদিন একজন নতুন করে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস-এ আক্রান্ত হওয়ার খোঁজ মিলেছে। এনিয়ে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি এখনও সন্দেহজনক অবস্থায় রয়েছে। নিশ্চিত হলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হবে ১৩। তবে নতুন করে মৃত্যুর কোনও খবর নেই। এর পাশাপাশি তিনি আরও জানান, দক্ষিণবঙ্গের যে কয়টি জেলায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়বে, সেই জেলাগুলিতে কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। স্বাস্থ্যদপ্তরেও কন্ট্রোল রুম থাকছে। পাশাপাশি জেলাগুলিতে যত কোভিড হাসপাতাল রয়েছে, সেগুলিতে প্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান ঠিক রাখা হচ্ছে। অক্সিজেন,পানীয় জল, বিদ্যুৎ— এই তিনটি জিনিসের সরবরাহ বজায় রাখতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, সোমবার রাতে চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের রাজারহাট ক্যাম্পাসের এক হাউস কিপিং-এর কর্মীর হঠাৎ মৃত্যুকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত তার রেশ চলে। অভিযোগ, কাজ করার সময় হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন বছর সাতাশের ওই কর্মী। একাধিকবার তাঁর সহকর্মীরা অনুরোধ করলেও কোনও চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেননি। রাত ১১টা নাগাদ মৃত্যু হয় ওই কর্মীর। এরপরেই কার্যত ক্ষোভে ফেটে পড়েন অন্যান্য কর্মীরা। প্রতিবাদে কাজ বন্ধ করে দেন তাঁরা। এদিন সকাল পর্যন্ত সেই প্রতিবাদ চলে। ঘটনা প্রসঙ্গে সিএনসিআই-এর মেডিক্যাল সুপার শঙ্কর সেনগুপ্ত একটি প্রেস বিবৃতিতে বলেন, কেন্দ্র সরকার পরিচালিত স্বশাসিত সংস্থা চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট। আর মহামারীর কারণে কোভিড হাসপাতালটি রাজ্য সরকার করেছে। সেখানের চিকিৎসা রাজ্য সরকারই পরিচালনা করে। তাই এই ঘটনার সঙ্গে আমাদের কোনও যোগ নেই।