বাংলার ২০ জেলার সংক্রমণের হার ১ শতাংশের কম
রাজ্যের কাছে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ ছিল দার্জিলিং-এর সংক্রমণ বৃদ্ধির হার।
Authored By:

রাজ্যের ২০টি জেলা ও স্বাস্থ্যজেলায় করোনা সংক্রমণের হার তথা পজিটিভিটি রেট একের নীচে। তৃতীয় দফার সেন্টিনাল সার্ভেতেই ধরা পড়ল এই আশার খবর। দ্বিতীয় সেন্টিনাল সার্ভেতে দেখা গিয়েছিল, জেলা ও স্বাস্থ্যজেলা মিলিয়ে রাজ্যের ১৪টি এলাকায় করোনা পজিটিভিটি রেট একের নীচে। কোভিড সংক্রমণ যে ক্রমেই কমছে, তৃতীয় সমীক্ষায় তা ধরা পড়ল আরও ছয় জেলায়। শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় সেন্টিনাল সার্ভেতে সবশুদ্ধ ১০টি জেলা ও স্বাস্থ্যজেলায় পজিটিভিটি রেট ছিল এক থেকে তিনের মধ্যে। এবার সেই মাপকাঠিতে এলাকার সংখ্যা কমে হয়েছে চার। নদীয়া, ঝাড়গ্রাম, উত্তর ২৪ পরগনা এবং উত্তর দিনাজপুর। তিনের বেশি পজিটিভিটি থাকা জেলা-স্বাস্থ্যজেলার সংখ্যা দ্বিতীয় পর্বের সেন্টিনাল সার্ভেতে ছিল চার। এবারও তাই থাকলেও, সেই জেলাগুলিতে পজিটিভিটি রেট কমেছে অনেকটাই।
২-৪ আগস্ট হওয়া দ্বিতীয় সেন্টিনাল সার্ভেতে করোনার দাপাদাপি বেশি থাকা জেলাগুলি ছিল যথাক্রমে পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং। সেখানে এবার তৃতীয় সার্ভেতে তিনের অধিক পজিটিভিটি থাকা চার জেলা হল বিষ্ণুপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং। চারটির মধ্যে তিনটি জেলা রয়েছে দু’বারের সমীক্ষাতেই। কিন্তু উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এবার সেই তিনটি’রই পজিটিভিটি রেট অনেকটাই কমেছে। আগের সমীক্ষায় পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিয়ে পজিটিভিটি রেট ছিল যথাক্রমে ৫.৯, ৬ এবং ৭.৭। এবার তা কমে হয়েছে যথাক্রমে ৩.৮, ৩.৬ এবং ৩.২।
রাজ্যের কাছে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথার কারণ ছিল দার্জিলিং-এর সংক্রমণ বৃদ্ধির হার। সেটা এবারের সমীক্ষায় অর্ধেকেরও বেশি কমেছে। টিকার কার্যকারিতাও আগেরবারের মতো এবারও ধরা পড়েছে সেন্টিনাল সার্ভেতে। দ্বিতীয় সার্ভেতে দেখা গিয়েছিল, যে কোনও করোনা টিকার একটি ডোজেই রাজ্যের মানুষ ৭০ শতাংশ সুরক্ষা পাচ্ছেন। এবার সেই সুরক্ষার হার বেড়ে হয়েছে ৭৫ শতাংশ। টিকা পাওয়া মানুষজন টিকা না পাওয়া মানুষজনের থেকে দ্বিগুণ সুরক্ষা পাচ্ছেন—জানা গিয়েছে তাও।
অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, প্রথম এবং দ্বিতীয় ঢেউতে করোনা দাপিয়ে বেড়িয়েছে কলকাতা এবং দুই ২৪ পরগনায়। এখন কী অবস্থায় এই তিন জেলার? তৃতীয় দফার সেন্টিনাল সার্ভে থেকে জানা যাচ্ছে, কলকাতা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার পজিটিভিটি একের নীচে নেমে গিয়েছে। হয়েছে যথাক্রমে ০.৭ এবং ০.৩। সেখানে উত্তর ২৪ পরগনার পজিটিভিটি হল এক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার তুলনামূলক নতুন স্বাস্থ্যজেলা ডায়মণ্ডহারবারের অবশ্য পজিটিভিটি রেট অনেকটাই বেশি—২.৭ শতাংশ।