মহাকরণের সামনে বেপরোয়া সেনা ট্রাকের ধাক্কা থেকে জোর রক্ষা পেল সিপির কনভয়, হস্তক্ষেপ পুলিশের
ট্রাফিক পুলিশের দাবি, ট্রাকটি এতটাই দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল যে বাঁক নেওয়ার সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৩:৩৯: মেয়ো রোডে তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের মঞ্চ ভাঙাকে কেন্দ্র করে সেনা-পুলিশ টানাপোড়েনের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের নতুন ঘটনা। মঙ্গলবার সকালেই মহাকরণের সামনে বেপরোয়া গতিতে ছুটছে বলে অভিযোগ তুলে সেনার একটি ট্রাক থামিয়ে দিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। ট্রাকটি এবং তাতে থাকা সেনা জওয়ান ও আধিকারিকদের নিয়ে যাওয়া হয় হেয়ার স্ট্রিট থানায়। সূত্রের খবর, মোটর ভেহিক্যাল অ্যাক্টে মামলা রুজু হয়েছে।
ট্রাফিক পুলিশের দাবি, ট্রাকটি এতটাই দ্রুতগতিতে যাচ্ছিল যে বাঁক নেওয়ার সময় বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। তাই তা আটকানো ছাড়া উপায় ছিল না। সেনার পক্ষ থেকে অবশ্য অভিযোগ খারিজ করে জানানো হয়েছে-মহাকরণের সামনে সবুজ সিগন্যাল থাকায় গাড়ি এগিয়ে গিয়েছিল, বেপরোয়া চালানো হয়নি। ঘটনার রিপোর্ট ফোর্ট উইলিয়ামে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ফোর্ট উইলিয়াম থেকে আয়কর ভবনের উদ্দেশে যাচ্ছিল ট্রাকটি। সেই সময়ই সেনার ট্রাকের ঠিক পিছনেই কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মার গাড়ি থাকায় নিরাপত্তার দিক থেকেও বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছিল।
এর আগে সোমবার, মেয়ো রোডে তৃণমূলের ভাষা আন্দোলনের ধর্নামঞ্চ সেনা খুলে দেওয়ায় ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, বিজেপির নির্দেশে সেনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। পুলিশকে না জানিয়ে ওই পদক্ষেপ করা হয়েছিল বলেও তাঁর দাবি। ঠিক তার পরের দিনই সেনার ট্রাক আটকানোর ঘটনাকে ঘিরে ফের মুখোমুখি হলো সেনা ও পুলিশ।
কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের এক ঘটনায় কিছু মহল ভ্রান্ত তথ্য ছড়াচ্ছে। এটি স্পষ্টভাবে একটি ট্রাফিক লঙ্ঘনের ঘটনা। দোষী চালকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ জনসাধারণকে অনুরোধ করেছে, সরকারি সূত্র থেকে প্রকাশিত তথ্যের ওপরই নির্ভর করতে এবং অযাচিত গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য।
পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজও প্রকাশ করেছে। ফুটেজে দেখা গেছে, ট্রাকটি বিপজ্জনকভাবে চালানো হচ্ছিল এবং ট্রাফিক লেনের নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়েছে। অন্য একটি গাড়ির চালকের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে বড় দুর্ঘটনা অল্পের জন্য এড়িয়ে যাওয়া গেছে।