৩ জেলা বাদ রেখেই ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’ শুরু সিপিএমের, নেপথ্যে সাংগঠনিক দুর্বলতা? প্রশ্ন দলের অন্দরেই

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি, ১৭:১৫: ছাব্বিশের ভোটের আগে শূন্যের গেরো কাটাতে ফের মাঠে নামল সিপিএম (CPM)। সংগঠনকে চাঙ্গা করা, গ্রামবাংলায় জনসংযোগ বাড়ানো আর নিজেদের উপস্থিতি স্পষ্ট করে তোলাই লক্ষ্য। সেই হিসেবেই শনিবার কোচবিহারের তুফানগঞ্জ থেকে শুরু হয়েছে দলের ‘বাংলা বাঁচাও যাত্রা’ (Bangla Bachao Yatra)। ১৭ ডিসেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটিতে যার পরিসমাপ্তি হবে।
যাত্রার শুরুতে পঞ্চানন বর্মা ও আব্বাসউদ্দিনের জন্মস্থানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে দল। প্রকাশ করা হয়েছে যাত্রার থিম-গানও। উদ্বোধনে ছিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় সহ ছাত্র-যুব নেতৃত্ব। পদযাত্রা, বাইক মিছিল, স্থানীয় সংস্কৃতি তুলে ধরা, এই সব মিলিয়ে রাজ্যের নানা ইস্যুকে কেন্দ্র করে এগোচ্ছে কর্মসূচি।
তবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে মূল যাত্রাপথ ঘিরে। পুরো রুটে থাকছে মাত্র ১১টি জেলা। বাদ পড়েছে হাওড়া, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতা। সংগঠনের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, যেখানে সাংগঠনিক ভরসা কম, সেই জেলাগুলিকেই কি তাই এড়িয়ে যাচ্ছে নেতৃত্ব? অতীতে কলকাতায় এসে শেষ হয়েছে একাধিক যাত্রা। ‘ইনসাফ যাত্রা’ও তার ব্যতিক্রম ছিল না। এবার কেন তেমন নয়, তা নিয়েও গুঞ্জন।
নেতৃত্ব অবশ্য অবস্থান পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছে। মহম্মদ সেলিম (Md Salim) সাংবাদিকদের বলেন, পরিকল্পনাই এমন। “বঞ্চনার প্রশ্ন নেই। পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে মূল যাত্রা হচ্ছে। আবার পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া যোগ দেবে উপযাত্রার মাধ্যমে। এটাই নিবিড় যাত্রা। স্থানীয় সংস্কৃতি আর ইস্যুতেই জোর দেওয়া হচ্ছে।”
তবু দলের একাংশের অভিমত, সম্ভাবনাময় বিধানসভা কেন্দ্রগুলিকে সামনে রেখে কৌশল সাজাচ্ছে সিপিএম।